আদালতের নির্দেশ অনুসারে জেলে মাওবাদী নেতা মধুসূদন মণ্ডলের প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা পাওয়ার কথা। অথচ প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁকে এমনই ছোট সেলে রাখা হয়েছে যে, হাঁটাচলাও করা যাচ্ছে না বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন ওই বিচারাধীন বন্দি। মধুসূদনবাবু লিখিত ভাবে আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। তাই নিয়মিত হাঁটা জরুরি। কিন্তু হাঁটাচলার পক্ষে সেলে জায়গা খুব কম। ওই বন্দিকে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কি না, অবিলম্বে জেল সুপারের কাছ থেকে সেই বিষয়ে সবিস্তার রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।
এর আগে আদালত মধুসূদনবাবু ছাড়াও শচীন ঘোষাল, সিদ্ধার্থ মণ্ডল-সহ অন্য চার বিচারাধীন মাওবাদী নেতাকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়ার জন্য জেল-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথম শ্রেণির বন্দিরা বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা পান। প্রশাসনিক কারণে মধুসূদনবাবুকে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে এবং বাকি চার অভিযুক্তকে পাঠানো হয়েছে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। মধুসূদনবাবুর আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পাওয়া অন্য বন্দিরা নিয়মমাফিক বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেলেও তাঁর মক্কেল পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ শুনে বিচারক মির রশিদ আলি প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন। সম্প্রতি আলিপুর আদালতে সেই সব তথ্য-সহ রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ বলেন, “রিপোর্টে জেল সুপার জানিয়েছেন, মধুসূদন মণ্ডলকে যে-সেলে রাখা হয়েছে, সেখানে যথেষ্ট জায়গা আছে এবং তাঁকে প্রথম শ্রেণির বন্দির সব সুযোগ-সুবিধাই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওই বিচারাধীন বন্দি আরও কিছু বাড়তি সুযোগ চেয়েছেন। সেই ব্যাপারে আইজি (কারা)-র অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।”
প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের দেওয়া সেই রিপোর্টে বিচারক অবশ্য সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মধুসূদন মণ্ডলকে যে-সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তার সবিস্তার খতিয়ান-সহ আরও একটি রিপোর্ট দিতে হবে। |