উড়ানের মিনিট পনেরোর মধ্যেই বিমানবাহিনীর এম আই-১৭ হেলিকপ্টারের পাইলটের কাছ থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে বার্তা আসে, ‘কপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি, ফিরে আসছি’। ওই ভিভিআইপি কপ্টার থেকে এই বার্তা আসতেই এটিসি-তে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে অন্য সব অবতরণ ও উড়ান স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে তৎপরতা শুরু হয়ে যায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে। দমকলের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স সব তৈরি রাখা হয়। তবে এম আই-১৭ কপ্টারটি নিরাপদে অবতরণ করে। তার সঙ্গি আরও দুই কপ্টারও অবতরণ করে নিরাপদেই। একে একে নেমে আসেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, অসমের রাজ্যপাল জানকিবল্লভ পট্টনায়ক, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতা, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। স্বস্তি ফেরে বিমানবন্দর জুড়ে।
অসমের গোষ্ঠী-সংঘর্ষ কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে আজ সকাল ১০ টা নাগাদ দিল্লি থেকে গুয়াহাটি আসেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ টা ২৬ মিনিটে বিমানবাহিনীর এম আই-১৭ হেলিকপ্টারে কোকরাঝাড়ের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা। পরে জানানো হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই পাইলট এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র, এস এস ফোগত জানান, ত্রুটি তেমন গুরুতর না হলেও, প্রধানমন্ত্রীকে কপ্টারে বসিয়ে পাইলট কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাননি। আপাতত হেলিকপ্টারটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে ত্রুটি ঠিক কোথায় ত্রুটি হয়েছিল।
ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষার পর বিমানবাহিনীর অন্য একটি হেলিকপ্টারে দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী কোকরাঝাড় পৌঁছন। উত্তর-পূর্বে তথা সারা দেশে গত কয়েক বছরে পরের পর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থেকে পাইলটের বার্তা পাওয়ার পরেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে গুয়াহাটির গোপীনাথ বরদলৈ বিমানবন্দরে। উদ্বেগ বাড়ে বিমানবাহিনীরও। সমস্ত ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি আগেই কেন ধরা পড়ল না? |