নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার নিয়ে নিজের দলের কাছেই অচ্ছুৎ হয়ে গেলেন প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকী। আজ সমাজবাদী পার্টি জানিয়ে দিয়েছে, সিদ্দিকী দীর্ঘ দিন ধরেই সমাজবাদী পার্টির সদস্য নন। তাঁর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সিদ্দিকী নিজে অবশ্য আজ এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
একটি ঊর্দু দৈনিকে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার জন্য যদি তিনি দায়ী হন, তা হলে তাঁকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে লটকানো হোক। সিদ্দিকীই ওই দৈনিকের সম্পাদক। এ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মুসলিমদের বার্তা দিতে চেয়েছেন বলেই অনেকের ধারণা। শাহিদ এক সময় সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বহুজন সমাজ পার্টিতে। বসপার টিকিটেই বিজনৌর আসন থেকে সংসদে গিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি ফের সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তাঁকে সমাজবাদী পার্টির মুখপত্রের ভূমিকায় দেখা যায়। যদিও সিদ্দিকির দলে ফেরার কথা আজ অস্বীকর করেছেন দলের নেতা রামগোপাল যাদব। তাঁর কথায়, “সংবাদমাধ্যম সিদ্দিকীকে সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র বলে মনে করে। এটা ভুল ধারণা।”
মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক সমাজবাদী পার্টির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সিদ্দিকি মোদীর সাক্ষাৎকার নেওয়ায় সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপি-র সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে দুই দল কোনও গোপন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করছে কি না। কিন্তু সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়ে সমাজবাদী পার্টির আর এক শীর্ষ নেতা আজম খান আজ বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। মোদী মানবতার শত্রু।” কোনও ঊর্দু দৈনিকে মোদীর বক্তব্য প্রকাশ করা উচিত হয়নি বলেও মনে করেন আজম।
সিদ্দিকী-প্রশ্নে জলঘোলা ঠেকাতে আজ দলে কড়া নির্দেশ জারি করেছেন রামগোপাল যাদব। জানিয়ে দিয়েছেন, মুলায়ম সিংহ যাদব, অখিলেশ ও তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র হিসেবে কথা বলতে পারবেন না। সমাজবাদী পার্টির কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেনের বক্তব্য, এক জন সাংবাদিক হিসেবে শাহিদ ঠিক কাজই করেছেন। মুলায়মের মতো ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ নেতারা পছন্দসই উত্তর না পেলেই খড়্গহস্ত হন। |