টলিউডের ‘নাসিরুদ্দিন শাহ’? এ কমপ্লিমেন্ট কি ফ্যানদের দেওয়া?
পীযূষ: (হা হা হা হাসি) কেউ কেউ বলেন। তাঁরা হয়তো আমার চেহারার সঙ্গে মিল খুঁজে পান। আমিও তাঁদের পাল্টা বলি, এই চেহারার মিল অবধিই ঠিক আছে, নাসিরুদ্দিনজির অভিনয়ের সঙ্গে যেন আবার আমার অভিনয়ের মিল খুঁজতে যাবেন না। তা হলেই...

অভিনয়ে আসার গল্পটা বলবেন?
পীযূষ: আমাদের পাড়ায় ‘কৃষ্টি’ বলে একটি নাটকের দলে নাটক করতাম। অভিনয়ে এখানেই হাতেখড়ি। তার পর বেহালা হাইস্কুলে একশো বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে একটা নাটকে আমায় ডাকা হল। ওই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ‘চেতনা’র প্রেসিডেন্ট সুবিমল রায় এবং সমীর মুখোপাধ্যায়, মূলত এই দু’জনের জন্যে গ্রুপ থিয়েটারে এলাম। আমার প্রথম অভিনয়ের গুরু হলেন অরুণ মুখোপাধ্যায়, তার পর দ্বিতীয় গুরু বিভাস চক্রবর্তী। তৃতীয় গুরু অসিত মুখোপাধ্যায়, এবং চতুর্থ গুরু রমাপ্রসাদ বণিক।

আপনি তো ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন, ছাড়লেন কেন?
পীযূষ: পুরোদমে অভিনয় করব বলেই চাকরিটা ছাড়লাম। ছাড়তে বাধ্য হলাম বলতে পারেন। কারণ, ২০০৪ সালে শুধুমাত্র ডিসেম্বরেই আমাদের ‘১৭ জুলাই’-এর কল শো ছিল ২৭টা। ইতিমধ্যে টেলিভিশনে কাজ শুরু করেছি। কয়েকটা ছবিও করে ফেলেছি। এ সব মিলিয়ে চাকরিটা ছেড়েই দিলাম।

সিকিওর জব ছাড়লেন, বাড়ি থেকে আপত্তি আসেনি?
পীযূষ: না। বরং সাপোর্ট পেয়েছি। সাপোর্ট না পেলে হয়তো চাকরিটা ছাড়তে পারতাম না, আর অভিনয় জগতেও আসতে পারতাম না।

আপনার কোথায় জন্ম? বাড়িতে কে কে আছেন? পড়াশোনা?
পীযূষ: আমার জন্ম বেহালায়। বাড়িতে আছেন মা, বউ আর ছেলে। বেহালা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক। সাউথ সিটি থেকে বি কম অনার্স।

আপনাকে ‘অন্য ধারা’র ছবিতে অর্থাৎ প্যারালাল ছবিতে যতটা দেখা যায়, মেনস্ট্রিম কমার্শিয়াল ছবিতে ততটা দেখা যায় না, কেন? আপনি কি চুজি?
পীযূষ: না, না, তা কেন হতে যাবে। আমি হাফ ডজন মেনস্ট্রিম ছবি করেছি। তার মধ্যে হিট ছবি স্বপন সাহার ‘বাবা কেন চাকর’।

আপনার কোনও স্বপ্নের চরিত্র আছে, যেটাতে বারে বারে অভিনয় করতে চান?
পীযূষ: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘দূরবীন’ গল্পে ধ্রুব’র চরিত্রটা হল আমার স্বপ্নের চরিত্র। এক বার এই ‘দূরবীন’ গল্প নিয়ে টিভি সিরিয়াল হচ্ছিল। আমি ধ্রুব-র চরিত্রটা করছিলামও, কিন্তু কী এক কারণে জানি না, সিরিয়ালটা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। যা-ই হোক, কোনও ডিরেক্টর যদি শীর্ষেন্দুবাবুর ওই গল্পটি নিয়ে সিরিয়াল বা ছবি বানান, তা হলে আমি ধ্রুব চরিত্রে অভিনয় করতে চাই।

শুনেছি, আপনি ফুটবলটাও খুব ভাল খেলতেন?
পীযূষ: মাধ্যমিক দেওয়ার পর তিন মাস ছুটিতে ফুটবল খেলা শুরু করলাম। গোল কিপিং করতাম। আসলে আমি যখন যেটা করি, সেটার শেষ দেখে ছাড়ি। ওই তিন মাস ফুটবল আমায় এমন পেয়ে বসল, তিন বছরের মধ্যে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটির ‘ব্লু’ হয়ে গেলাম। এক দিন সকালে সিঁড়ি থেকে পড়ে ছ’টা রিব গেল ভেঙে। খেলা ছাড়তেই হল।

আপনি ভাল গান করেন, শ্রীকান্ত আচার্য, রূপঙ্করদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করেন, এটাকেই পেশা করলেন না কেন?
পীযূষ: ওঁদের মতো গায়কদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার সুযোগ আমার পরম সৌভাগ্য। তবে আমি কারও কাছে গান শিখিনি। যা শিখেছি শুনে শুনে। সেই কারণেই পেশা করিনি। তবে আমি সম্প্রতি ‘দশমী’ ছবিতে অভিনয় তো করেইছি, একটা গান প্লেব্যাকও করেছি। এ ছাড়াও কিছু টেলিফিল্মে অভিনয়ের সঙ্গে প্লেব্যাক করেছি। যার মধ্যে অন্যতম এবং জনপ্রিয় ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’। জানেন তো, চাকরি করা কালীন প্রথম বারই অল ইন্ডিয়া কম্পিটিশনে গিয়ে, প্রথম বারই গানের জন্য প্রথম পুরস্কার নিয়ে এসেছিলাম ইস্টার্ন রিজিয়নে এবং কলকাতা অফিসে।

অপর্ণা সেনের পরের ছবি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে ‘গয়নার বাক্স’ ছবিতে আপনি অভিনয় করছেন, যোগাযোগ হল কী ভাবে?
পীযূষ: সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়ের ‘অটোগ্রাফ’ ছবির মতো এ বারও সেই ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর প্রোডাকশন অফিস থেকে ফোন করে বলল, অপর্ণা সেনের নতুন ছবি ‘গয়নার বাক্স’র একটি চরিত্রের জন্য আপনাকে ভাবা হয়েছে, আপনি রাজি? আমি তো সঙ্গে সঙ্গে বললাম, হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চয়। অপর্ণা সেনের ছবি, করব না মানে! যদিও আমার প্রথম বড় পর্দার ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন অপর্ণা সেন। এবং সেটার পরিচালক ছিলেন চিদানন্দ দাশগুপ্ত। ছবির নাম ‘আমোদিনী’। আমিই নায়ক ছিলাম। চরিত্রটার নাম ছিল ‘পুণ্ডু’।

অভিনয়ে আপনার আইডল?
পীযূষ: পৃথিবীর সব ভাল ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রী। এ ছাড়াও যদি বলতে বলেন বলব, নাসিরুদ্দিন শাহ।

এক বছর যাত্রাও তো করেছিলেন। ভবিষ্যতে আর করবেন না?
পীযূষ: এক বছরই করেছিলাম। ৮৪টা অভিনয় হয়েছিল। কিন্তু বিরাট পরিশ্রমের কাজ। তাই ছেড়ে দিলাম। ভবিষ্যতে হয়তো করব।

বিয়েটা কি প্রেমের?
পীযূষ: হ্যাঁ। তবে যখন আমার বন্ধুরা স্থায়ী গার্লফ্রেন্ড জোটাতে পারেনি, তখন আমি ২৩ বছর বয়সে বিয়ে করে ফেলি। আর যখন আমাদের প্রথম সন্তান হল, আমার তখন সবে ২৪।

পেট্রোলের দাম উদো-বুধোর বয়স হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর দাম কখনও বাড়তি, কখনও কমতি। গত কয়েক মাসেই তো কত বাড়ল, কমল। এখন  দাম ছিয়াত্তর পয়েন্ট এক তিন। ত্রৈরাশিক চান, না ভগ্নাংশে?
টুকু দে। বালি

প্রণববাবুকেই এখন বলা যেতে পারে ‘শের(ওয়ানি)-এ-বঙ্গাল’!
পুণ্ডরীকাক্ষ পুরকায়স্থ। পাণ্ডুয়া

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনটা শেষমেশ ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’ হল। প্রার্থনা করি, এ বারের বর্ষাটাও যেন ‘মধু-রেন’ (rain) হয়েই শেষ হয়!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

নতুন পথে নতুন লক্ষ্যে তিনি pro-নব!
আশামঞ্জরি।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষিতে এ বার ‘পলি হাউস’ সিস্টেম চালু হবে। উত্তম উদ্যোগ। কিন্তু দেখবেন, এই প্রকল্পটায় যেন ‘পলি’ জমে না যায়, বা বামেদের মতো যেন না ‘মোনো-পলি হাউস’ গড়ে ওঠে!
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল

কেন্দ্রের কংগ্রেস আর্থিক সংস্কারে ভাল স্কোরের লক্ষ্যে কিছুটা ‘ফরওয়ার্ড’ খেলার কথা ভাবলেও ইউ পি এ-র অন্য জোট শরিকদের তুখোড় রাজনৈতিক স্পিনে বার বার ব্যাকফুটে ডিফেন্সিভ যেতেই বাধ্য হচ্ছে!
অনাদিচরণ সর্দার। মল্লিকপুরা

আধুনিক ফ্ল্যাটের ক্রমশ যা সাইজ হচ্ছে, সে তো গুহার মতোই! কাজেই লেজ যে ফিরে আসবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!
অমিতেন্দু পালিত। আপকার গার্ডেন্স

গুড়াপ-কাণ্ড দেখে মনে হল, রাজ্যে যেন নারী নির্যাতনের ‘হোম’াগ্নি জ্বলছে!
অভিজিৎ মল্লিক। নহাটা

অলিম্পিকে এক মহিলা বক্সারের কাছে ভারতবাসীর আবদার: বেশি ‘মেরি’, ‘কম’ দুঃখ চাই!
দেবীপ্রসাদ চক্রবর্তী। সোনারপুর

ভারতের হয়ে অলিম্পিক মশাল বইবার জন্যে অমিতাভ বচ্চনই যে যোগ্যতম মানুষ, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ, বাকিরাও তো মোটামুটি খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অভিনয় করতেই নেমেছেন!
পৌলোমী দাস। জগাছা

বর: আমাদের বিয়ের দশম বার্ষিকীতে চলো আন্দামান যাই।
বউ: ২৫ বছরে তবে কোথায় যাবে?
বর: কেন, তোমায় ফিরিয়ে আনতে!
সৌরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আড়িয়াদহ

সেটা ১৯৭৬ সাল। রাখী পূর্ণিমার দিন। আর ক’মাস পরেই বারোয় পড়ব। কিছু দিন আগে পরিচালক অপূর্ব মিত্র ছোটদের ছবি ‘অভি’-তে কাস্ট করেছেন। মনে খুব আনন্দ হলেও বাড়িতে আমার দাদা ও ভাই-বোনেদের তুলনায় আমার মুখশ্রী কম শার্প থাকায়, মানে নাক চাপা থাকায় অল্প দুঃখ আছে।
সে দিন প্রথম শুটিং। এন টি ওয়ান স্টুডিয়োতে শুটিং করে লিলুয়ায় বাড়ি ফিরেই আনন্দে লাফিয়ে মাকে বলেছিলেন, মা, তুমি খ্যাঁদা, বোঁচা বললে কী, আমি আজ বিউটি কনটেস্টে ফার্স্ট হয়েছি। আসলে হয়েছে কী, শুটিংয়ের ফাঁকে হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখি অসাধারণ সুন্দর, প্রচণ্ড ব্যক্তিত্ববান উত্তমকুমার গাড়ি থেকে নেমে মেক-আপ রুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক পলক মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে থেকেই আমার দাদার হাত ধরে টান মারি। ইস্, অটোগ্রাফ খাতাটা সঙ্গে নেই যে! একটা ছোট ডায়েরি দাদার কাছে ছিল। সেটা নিয়ে ওঁর মেক-আপ রুমের দিকে পা বাড়াই। অনেক পাহারা, বাধা পেরিয়ে ওঁর সামনে গিয়ে দাঁড়াই। উনি কাছে ডাকলেন। বললাম, একটা অটোগ্রাফ চাই। উনি, বললেন, ‘তা এখানে কী করছ?’ বললাম, ‘অভি’তে অভিনয় করছি। উনি বললেন, ‘ও। বুড়িও তো ওতে পার্ট করছে, চেনো ওকে?’ বললাম, হ্যাঁ। মেক-আপ টেস্টের দিন আলাপ হয়েছে সুব্রতা কাকিমার সঙ্গে। কোন ক্লাসে, কোথায় পড়ি, আর কী কী শিখি, আরও অনেক টুকরো কথা বললেন। তার পর খাতায় লিখে দিলেন ‘সংহিতা, তুমি সুন্দর আর আমি? সুন্দরের পুজারী। শ্রী উত্তমকুমার, রাখী ও ঝুলন পূর্ণিমা।’ তার পরেও কিছু কথা বলেছিলেন। শ্যামল মিত্রকে বলেছিলেন মেয়েটি ভারী মিষ্টি। কিন্তু আমার কোনও কথাই কানে যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ হুঁ-হাঁ করে দে ছুট। কখন শুটিং শেষ হবে, কখন মাকে দেখাব!

মদনদাদা, বলুন তো ঠিক আপনি কাহার মিত্র?
এই শহরের পথে কেবল রিফিউজাল-এর চিত্র।
‘ট্যাক্সি’ মানে তার চালকের মর্জি-রুটের রথ,
বলুন দেখি, কবে পাবেন ‘বিকল্প এক পথ’?
গলায় দিলাম ঘুঁটের মালা তুলে,
খোঁজ মিললে তবেই দেব খুলে

ক্ষমা করিনি

আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। এক দিন দুপুরে হঠাৎ এক ভণ্ড সাধুবাবা এলেন বাড়িতে। তখন বাড়িতে ছিলাম আমি আর মা। এ কথা সে কথার পর হঠাৎ আমাকে দেখে মাকে বলেন, ‘তোর এই ছেলের খুব বিপদ। আর এক মাসের মধ্যেই তোর এই ছেলের মৃত্যু হবে।’ এ কথা শুনে আমার মা কান্নায় ভেঙে পড়লেন। স্বাভাবিক ভাবেই এ রকম কথা শুনে অন্য মায়েদেরও যা হত, মায়েরও তাই হয়েছে। এর প্রতিকার জানতে চাইলে, সাধুবাবা বলেন, এই বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তার কাছে মাদুলি আছে, তবে তার দাম ১০০১ টাকা। মায়ের মন, ছেলের বিপদের কথা ভেবে টাকা না থাকায় শেষ পর্যন্ত নিজের সোনার কানের দুল জোড়া খুলে দিয়ে দিলেন। তা নিয়ে মাদুলি দিয়ে তিনি চলে যান। আমিও রাগ করে সে মাদুলি পরিনি। আজ এত বছর হয়ে গেল ভগবানের দয়ায় আমি সুস্থ। তবে সে দিনের সেই ভণ্ডামির জন্য আজও সেই ভণ্ড সাধুকে ক্ষমা করিনি।
সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, নদিয়া

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.