পরিকাঠামো রয়েছে ২০২ জন থাকার। অথচ রাখতে হচ্ছে সাড়ে তিনশো বন্দিকে। প্রায় এক বছর ধরে চিকিৎসক নেই। কর্মীদের বিভিন্ন পদ খালি পড়ে আছে দীর্ঘ দিন। এই ছবি কোচবিহার সংশোধনাগারের। ওই পরিস্থিতি দেখে বন্দিদের পরিবার ও আইনজীবী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জেল সুপার পল্লব চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “চিকিৎসক পদ পূরণের জন্য অগস্টে বিজ্ঞাপন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেলের নতুন ভবন চালু হলে সাজাপ্রাপ্ত প্রায় ২০০ বন্দি সেখানে চলে যাবেন। তখন চাপ অনেকটা কমবে।” সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭২ জন পুরুষ এবং ৩০ জন মহিলা বন্দিকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে কোচবিহারে। কিন্তু ফি মাসে গড়ে সাড়ে তিনশো জন বন্দিকে একরকম গাদাগাদি করে রাখতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্দিদের জন্য তৈরি রিক্রিয়েশন রুমেও থাকার বন্দোবস্ত করতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। গরমের মরসুমে বাড়তি চাপের জন্য সমস্যা বেড়ে যায়। তার উপরে বন্দিদের জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসক পদ প্রায় এক বছর ধরে খালি পড়ে আছে। ফলে সামান্য শারীরিক সমস্যা হলে ঝুঁকি না নিয়ে বন্দিদের জেলা হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়। জেলের এক আধিকারিক বলেন, “সপ্তাহে গড়ে ১০ জন বন্দিকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ৩০ জুন থেকে জেলের চিকিৎসক পদ খালি পড়ে। ওই শূন্যপদ পূরণের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাধিকবার চিঠিও পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়ে দেন চিকিৎসকের সংখ্যা কম থাকায় সমস্যার সমাধান এই মূহুর্তে সম্ভব নয়। শুধু কী চিকিৎসক! জেল কর্মীদের বিভিন্ন পদ খালি পড়ে আছে। জেলা তৃণমূল ল’ইয়ার্স লিগাল সেলের সভাপতি শিবেন রায় বলেন, “বামফ্রন্টের সময় জেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। ফলে গাদাগাদি করে বন্দিদের রাখতে হচ্ছে। মহিলাদের সঙ্গে থাকা বাচ্চাদের রাখার পরিকাঠামো নেই। চিকিৎসক সহ বিভিন্ন কর্মী পদ খালি পড়ে আছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে কারামন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
|
সন্ধ্যা হতে স্কুল চত্বর চলে যাচ্ছে দুষ্কৃতীদের দখলে। রাত বাড়লে পরিত্যক্ত দুটি ক্লাসরুমে বসছে মদ, গাঁজা ও জুয়ার আসর। প্রতিদিন বিভিন্ন আপত্তিকর জিনিসপত্র উদ্ধার করছেন কর্তৃপক্ষ। রায়গঞ্জ শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেশন সংলগ্ন শিশু শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। প্রায় একমাস ধরে চলা ওই পরিস্থিতিতে শিক্ষক, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকদের একাংশ ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিজয় রায়চৌধুরী বলেন, “স্কুল চত্বরে সমাজবিরোধীদের কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষক, পড়ুয়া ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত। প্রতিদিন গড়ে ১০ জনের বেশি পড়ুয়া স্কুলে হাজির হচ্ছে না।” সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি রায়গঞ্জ সদর সার্কেলের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সৃষ্টি গোমদেন। তিনি বলেন, “স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জমিতে স্কুল তৈরি হওয়ায় ক্লাসরুম সংস্কারের কাজ আটকে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ক্লাসরুম সংস্কারের চেষ্টা চলছে। স্কুল চত্বরে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ ঠেকাতে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।” ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির সভাপতি তথা কংগ্রেস সমর্থিত স্থানীয় নির্দল কাউন্সিলর রিঙ্কি দে বিশ্বাস জানান, পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়েছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি সমীর পাল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বেশ কয়েকদিন ওই স্কুলে অভিযান চালালেও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা যায়নি। সন্ধ্যার পরে স্কুলে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।” প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৬৬ সালে ওই স্কুলটি গড়ে ওঠে। স্কুলে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে ৩৫ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিক্ষক আছেন ২ জন। চারটি ক্লাসরুমের মধ্যে দুটি কয়েক বছর থেকে বেহাল। বাকি দুটি ক্লাসরুমের ছাদের সিলিংয়ের বেড়া ভেঙে পড়েছে। দেওয়ালের পলেস্তরাও খসে পড়ছে। ওই দুটি ঘরে বসে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, শুধু ক্লাসরুম নয়। বেহাল শৌচাগারের অবস্থা। যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
|
স্নাতক স্তরের ভর্তির ফর্ম ফিলাপকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকালে কালিয়াগঞ্জ কলেজে ওই গোলমালে দু’পক্ষের ছয়জন জখম হন। এর মধ্যে ২ জন ছাত্র পরিষদের।৪ জন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে বলেও ছাত্ররা জানিয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ছাত্র পরিষদ সমর্থকেরা প্রায় একঘন্টা কলেজের অধ্যক্ষ পীযূষ দাসকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। ছাত্র পরিষদ নেতা তুষারকান্তি গুহ বলেন, “আমাদের কর্মীরা পড়ুয়াদের ফর্ম ফিলাপের কাজে সাহায্য করছিলেন। সেই সময় টিএমসিপি কর্মীরা হামলা চালান। পুলিশ এসে উল্টে আমাদের ছেলেদের লাঠিপেটা করে। অভিযুক্তদের ধরা না হলে থানা ঘেরাও করা হবে।” পাল্টা অভিযোগ করে টিএমসিপি নেতা প্রিয়ব্রত দুবে বলেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করছিলাম। ছাত্র পরিষদ বহিরাগতদের এনে গোলমাল করে আমাদের কর্মীদের মারধর করে।”
|
তৃণমূল কাউন্সিলরের নিখোঁজ ছেলের দেহ মিলল কুলিকের জলে। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া কুলিক পক্ষী নিবাসের ভিতরে বয়ে চলা ওই নদী থেকে দেহটি পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় (১৮)। বাড়ি অশোকপল্লিতে। রায়গঞ্জের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র পরিবারের একমাত্র সন্তান। বাবা প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। ওই দিনই পরিজনেরা রায়গঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এ দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাসিন্দারা দেহটি দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পরিবারের লোকরা বিশ্বজিতের দেহ শনাক্ত করেন। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বজিৎ স্কুলে যাচ্ছিল না। রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য মৃত্যুর তদন্ত দাবি করেছেন।
|
দিল্লির চুরির গয়না উদ্ধার |
দিল্লিতে সোনার গয়না চুরির অভিযোগে এক মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার বিকালে দিল্লি পুলিশ ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে রায়গঞ্জ থানার নারায়ণপুর বারোদুয়ারি এলাকায় ওই মহিলাকে ধরে। ধৃতের নাম পম্পা দাস। তার থেকে ১০০ গ্রাম সোনার অলঙ্কার উদ্ধার হয়েছে। ধৃত মহিলা দিল্লির ময়ূরবিহারে নীতা কোহলি নামে এক বৃদ্ধার বাড়িতে পরিচারিকার বাড়িতে কাজ করতেন। ২৩ মে চুরি হয় বলে অভিযোগ। |