|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
শুধু সংখ্যা কি বিচিত্র এই দেশ |
বইপোকা |
‘সত্য সেলূকস! কি বিচিত্র এই দেশ!’ বিচিত্র এই কারণে যে, নেহাত একটি সংখ্যার জোরে হঠাৎ যেন দীর্ঘ বিস্মৃতির অমাবস্যা ভেদ করিয়া দ্বিজেন্দ্র-চন্দ্রকে টানিয়া বাহির করিল এই বঙ্গ। সংখ্যাটি ১৫০। বিদ্যালয়ের প্রার্থনাসঙ্গীত ব্যতীত যে দ্বিজেন্দ্রলাল এত কাল নিছক ডি এল রায় হইয়া ছিলেন তাঁহাকে লইয়াই এখন সাজ সাজ রব। পত্রিকায় তাঁহাকে লইয়া বিশেষ সংখ্যা। তিনি কত ভাল গান লিখিতেন তাহা লইয়া তর্পণের পরে তর্পণ। ভাল, বিস্মৃত কোনও স্রষ্টার মূল্যায়ন সর্বকালেই কাম্য। কিন্তু উপলক্ষ-ভিত্তিক মূল্যায়নে ফাঁকির সম্ভাবনা থাকিয়া যায়। পার্বণ-প্রিয় বঙ্গজাতির রবীন্দ্রপার্বণ এই শ্রাবণে সমাপ্ত হইবে, তাই কি আগেভাগে আর এক পার্বণের ঠাকুর ধরিয়া ফেলা? ঠাকুরই, কারণ ইত্যবসরে স্বভাব-পৌত্তলিক বাঙালি দ্বিজেন্দ্র-মূর্তিও বসাইয়া ফেলিয়াছে। কিন্তু হায়, পূজার ছলে যে ঢাকা পড়িয়া যাইতেছে এই কঠিন সত্যটি যে দ্বিজেন্দ্রগানের শিল্পী এখন প্রায় শূন্য হইয়া দাঁড়াইয়াছে। কোটিখানেক শিল্পী যদি রবীন্দ্রসঙ্গীত গাহিয়া থাকেন, তবে দ্বিজেন্দ্রলাল? এক দুই তিন, গণনা এক অঙ্গুলেই সমাপ্ত! তবে আশার কথা এই যে, তাঁহার রচনাবলির অত্যন্ত যত্নে প্রকাশিত একটি সুসম্পাদিত সংস্করণ (দুই খণ্ডে সাহিত্য সংসদ হইতে প্রকাশিত, রথীন্দ্রনাথ রায় সম্পাদিত) এখনও সুলভ। তদ্ব্যতীত কয়েক বৎসর আগে সুধীর চক্রবর্তীর সম্পাদনায় দ্বিজেন্দ্রগীতি-সমগ্রও প্রকাশিত হইয়াছে বাংলা আকাদেমি হইতে। এই উদ্যোগ বজায় থাকুক, ১০০, ১৫০, ২০০-র সংখ্যাতত্ত্ব পার করিয়া, ইহাই আশা। |
|
|
|
|
|