ডাকঘর

বাড়ানো হোক যাত্রাপথ
সকালে বহরমপুর থেকে লালগোলার দিকে যাওয়ার প্রথম ট্রেনটি ৩০-৪০ মিনিট দেরিতে আসা নিয়মিত ঘটনা। ওই ট্রেনে নিত্যযাত্রীর সংখ্যাটা কিন্তু কম নয়। ট্রেনের এই দেরির কারণে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরাই। এমনিতেই ট্রেনটিতে অসম্ভব ভিড় হয়। এর পরে সময় মত ট্রেন চলাচল না করার ফলে যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয় যে, ট্রেনে ওঠানামা করার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে হয়। সেই সঙ্গে স্কুল-কলেজ,অফিস-কাছারিতে সময়ে পৌঁছানো যায় না। শিয়ালদহ থেকে বহরমপুরে ১৮৬ কিমি পথ সিঙ্গল লাইনে অতিক্রম করে আসা ট্রেনের সময় মত না পৌঁছানো অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কৃষ্ণনগর-বহরমপুর যে মেমুটি সকাল ৮.১৫ মিনিটে বহরমপুরে পৌঁছায়, সেটির যাত্রাপথ যদি লালগোলা পর্যন্ত বাড়ানো হয়, তবে ওই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।


মনে রাখেনি কেউ
নিমতিতার কাছে ‘জগতাই’ গ্রামে তাঁর জন্ম ১২৯৮ সালের ১৫ শ্রাবণ (১৮৯১ সালের ৩০ জুলাই)। আর এখান থেকেই ভারতীয় চিত্রকলার জগতে আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। অথচ স্বদেশেই তিনি তাঁর যোগ্য স্বীকৃতি পাননি। নাম ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার। বিলেতের রয়্যাল আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ রদেনস্টাইন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিষ্যদের মধ্যে একমাত্র ৫/৬ খানা স্কেচ এঁকেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তাঁর মধ্যেই নাকি খাঁটি ভারতীয়ত্বের আইডেন্টিটি লক্ষ করা যায়। বাবা কেদারনাথ মজুমদার পেশায় সাব-রেজিস্ট্রার হলেও বাড়িতে ছিল বৈষ্ণবীয় পরিবেশ। কীর্তনের আসরও বসত বাড়িতে। আর তার ফলেই তাঁর শিল্পীসত্ত্বার মধ্যে বৈষ্ণবীয় প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। নিমতিতা মাইনর স্কুল থেকে পাশ করে তিনি দু’বছর অধ্যয়ন করেন পাকুড় স্কুলে। তার পর ১৯০৭ সালে নিমতিতার জমিদার ‘নাট্যশিল্প ও সংস্কৃতি জগতের গুণগ্রাহী’ মহেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর আগ্রহে ও আনুকূল্যে কলকাতার আর্ট স্কুলে (এখন যেটা গভর্মেন্ট আর্ট কলেজ) ভর্তি হন। এ সময় জগতাই-এ তাঁর নিজের বাড়িতে দুর্গাপুজো হত। তিনি মূলত চিত্রশিল্পী হলেও একবার নিজের হাতে অপূর্ব দক্ষতায় দুর্গাপ্রতিমা গড়েছিলেন। ১৯১১ সালে পার্ক স্ট্রীটে ‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট’-এ একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ। সেখানে অবণীন্দ্রনাথের ছবির পাশাপাশি ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণের সাত খানা ছবি স্থান পায়। এই প্রদর্শনীতেই ক্ষিতীন্দ্রনাথের ‘পর্বতকন্য পার্বতী’ চিত্রখানি সংগ্রহ করে লেডি হার্ডিঞ্জ এই তরুণ শিল্পীকে বিপুলভাবে অভিনন্দিত করেন। লর্ড রোনাল্ডজে এই শিল্পীর আঁকা ২০/২২ খানা ছবি কেনেন। মুসোলিনীর কন্যাও চার খানা ছবি কেনেন। ১৯১৮ সালে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট স্কুল থেকে নন্দলাল বসু চলে যাওয়ার পরে অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ ক্ষিতীন্দ্রনাথকে শিক্ষকরূপে নিয়োগ করেন। এ সময় জাপানের প্রখ্যাত চিত্রসমালোচক ওকাকুরা ক্ষিতীন্দ্রনাথের আঁকা ‘শকুন্তলা’ দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। রবীন্দ্রনাথ একবার এই ভাবুক শিল্পীকে বলেছিসেন, ‘ঘণ কৃষ্ণ মেঘে ঢাকা আকাশের নিচে বিদ্যুতের আলোয় রাধাকৃষ্ণের বিমূর্ত ছবি এঁকে দেখাও দেখি।’ শিল্পী আঁকলেন সেই ছবি। মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ তাঁর সংগ্রহে রাখলেন ক্ষিতীন্দ্রনাথের বেশ কয়েকটি ছবি। এখনও কলকাতা, লাহোর ও ইলাহাবাদের মিউজিয়ামে এবং কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষিতীন্দ্রনাথের আঁকা অনেক ছবি আছে। অথচ শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আমরা মুর্শিদাবাদবাসী কিংবা নিদেনপক্ষে জঙ্গিপুরবাসীরাও আমাদের ঘরের ছেলে এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পীর কথা তেমন ভাবে মনে রাখি না।


কমছে কাঠবিড়ালি
কান্দি মহকুমায় ক্রমশ কমে যাচ্ছে কাঠবিড়ালি, গোসাপ ও চড়ুই পাখির সংখ্যা। একই ভাবে কমছে কাকও। বর্ষাকালে আগে গ্রামের জমি ও মাঠে প্রচুর গোসাপ দেখা যেত। এখন আর তত নজরে পড়ে না। যাযাবর সম্প্রদায় দীর্ঘ দিন ধরে কাঠবিড়ালি শিকার করে চলেছে। শৈশব ও কৈশোরে গাছগাছালি ও ঝোপ-জঙ্গলে অনেক নাম না ডানা পাখি দেখা যেত। এখন আর সেগুলি চোখে পড়ে না। সারা ভারতেই শকুনির সংখ্যা অসম্ভব হারে কমে গিয়েছে। অথচ নব্বইয়ের দশকেও কেবলমাত্র বড়ঞা ব্লকে কয়েক হাজার শকুনি ছিল। জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
রাস্তা সারবে কবে?
বর্ষায় নদিয়া জেলার বেথুয়াডহরির রাস্তাগুলির অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। এখনও বেথুডাহরিতে সুনির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড নেই। বিগত বছরে বহরমপুরগামী বেসরকারি ও সরকারি বাসগুলি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের উল্টোদিকে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হয় এবং কলকাতাগামী বাসগুলিকে অন্য একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের সামনের দাঁড় করানোর বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে অমান্য করে সব বাসই বেথুয়াডহরি চৌরাস্তা (স্ট্যাচু) মোড় সংলগ্ন দোকানগুলির সামনে দাঁড়ানোর ফলে জনবহুল ওই এলাকায় জল-কাদায় মাখামাখি হয়ে নরকে পরিণত হয়েছে। এমনকী স্টেশনে যাওয়ার রাস্তাতেও জল জমে থাকছে সব সময়ের জন্য। একই হাল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কেরও। নাকাশিপাড়া থানার বিপরীতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে সন্ধ্যের পরে সাইকেল-রিকশা নিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
চিঠি পাঠানোর ঠিকানা
ডাকঘর
এবিপি প্রাইভেট লিমিটেড
বানজেটিয়া, জলঙ্গি রোড
পোস্ট বক্স: কাশিমবাজার
মুর্শিদাবাদ- ৭৪২১০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.