|
|
|
|
হুমকিতে ঘরছাড়া বিজেপি নেতা, থানায় নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পঞ্চায়েত থেকে দরপত্র দেওয়া নির্দিষ্ট সংখ্যক গাছের তুলনায় বেশি গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানের যোগসাজশে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এমনই অভিযোগ জানিয়েছিলেন পটাশপুর-১ ব্লকের ব্রজলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নরিয়া গ্রামের বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ কর। অভিযোগ, তারপরই ওই রামকৃষ্ণবাবুকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে গ্রামছাড়া করা হয়েছে।
রামকৃষ্ণবাবু জানান, সিংদা থেকে সাহাপুর পর্যন্ত খালপাড় বরাবর দরপত্র অনুযায়ী ৮০০ গাছ কাটার কথা। কিন্তু তার জায়গায় ৬০০০ গাছ কাটা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানান। ১৬ জুলাই থানায় রামকৃষ্ণবাবু থানায় অভিযোগ করেন যে, গাছ কাটা নিয়ে প্রশাসনে জানানোর পর অভিযোগ প্রত্যাহারে হুমকি দিতে থাকেন তৃণমূল নেতারা। রামকৃষ্ণবাবরু বক্তব্য, “প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। এ দিকে, তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আমার বাড়ি গিয়ে ক্রমাগত হুমকি দেওয়ায় আমি ফিরতে পারছি না।”
অভিযুক্ত সিপিএমের প্রধান তুলু মাইতি ও তৃণমূল নেতা পীযূষকান্তি পন্ডা অবশ্য বলেন, “গাছ বিক্রির ৪ লক্ষাধিক টাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার লোকজনই বাকি গাছ চুরি করেছেন।” পীযূষকান্তিবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “ওই বিজেপি গাছ চুরির সঙ্গে যুক্ত। ওঁকে হুমকি তো দেওয়াই হয়নি, ঘরছাড়া হওয়ার মতো পরিস্থিতিও হয়নি। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিয়ে উনি এলাকায় অস্থিরতা বাড়াতে চাইছেন।’’ পটাশপুর থানার ওসি বিপ্লব হালদার জানান, ওই ব্যক্তি গাছ চুরিতে যুক্ত বলে এলাকা থেকে একটি অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ না করায় এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিডিও অমিতেন্দু পাল বলেন, “ওই বিজেপি নেতার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে।” |
|
|
|
|
|