দু’পক্ষের গণ্ডগোলের মাঝে পড়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে বোমায় আহত হল এক ছাত্র। মন্তেশ্বরের তেঁতুলিয়া গ্রামের এই ঘটনায় আহত ছাত্রকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শেখ সুখচাঁদ নামে স্থানীয় বামুনপাড়া হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রের বাঁ পায়ে বোমার টুকরো বিঁধেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আহত ছাত্রের দাদা শেখ ভানু জানান, তাঁদের পরিবার তৃণমূল সমর্থক। তাঁর দুই কাকা কচি শেখ ও মান্ত শেখ এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ভানুর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার বিকেলে কাকারা বাজারে যাওয়ার সময়ে সিপিএম আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের লক্ষ করে বোমা ছোড়ে। তখন ভাই স্কুল থেকে ফিরছিল। তার পায়ে বোমা লাগে।” ঘটনার পরে সিপিএমের লোকজন তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করে বলেও অভিযোগ ভানুর। পরে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বলে তার দাবি। |
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা অবশ্য জানান, এই ঘটনার মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে। তিনি বলেন, “ওই গ্রামে ফটিক ও কায়েশ নামে দুই ব্যক্তি নানা গণ্ডগোল পাকানোয় অভিযুক্ত। নাজিবুল নামে ফটিকের এক অনুগামীকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাতে কাদেরের লোকজনের সন্দেহ হয়, পুলিশকে এ ব্যাপারে ফটিক খবর দিয়েছে। তাই ফটিকের অনুগামীদের উপরে হামলা হয়। তার মাঝে পড়েই ওই বালক আহত হয়েছে।”
তৃণমূলের মন্তেশ্বর ব্লক কার্যকরি সভাপতি সজল পাঁজার অবশ্য অভিযোগ, “সিপিএমের লোকেরাই হামলা চালিয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি আমরা।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মন্তেশ্বরের সিপিএম বিধায়ক সৈয়দ মহম্মদ হেদায়তুল্লাহের পাল্টা দাবি, “যা ঘটেছে তা তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে।’’ |