দু’টি পর্ষদে আসছে সব শিক্ষা কেন্দ্র |
শিক্ষার অধিকার আইনেই সব ধরনের স্কুলের অনুমোদন থাকাটা আবশ্যিক শর্ত। এ বার সেই শর্ত মেনে রাজ্যের সব শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রকে যথাক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে আনা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, শিশু ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলি পঞ্চায়েত দফতরের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে, স্কুলশিক্ষা দফতরের আওতায় আসবে না। এই প্রস্তাব শীঘ্রই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। বৃহস্পতিবার মহাকরণে মুখ্যসচিব সমর ঘোষের সভাপতিত্বে স্কুলশিক্ষা ও পঞ্চায়েত দফতরের সচিবদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন রাজ্যে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে এবং সর্বশিক্ষা অভিযানের আর্থিক সহায়তায় প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার শিশু শিক্ষা কেন্দ্র চালু আছে। আর পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর জন্য চালু আছে আড়াই হাজারের মতো মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র। কিন্তু সেগুলির কোনওটিই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়। সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারাও কোনও সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত নন। ওই সব শিক্ষা কেন্দ্রে পড়ান পঞ্চায়েত দফতরের মাধ্যমে নিযুক্ত সহায়ক ও সহায়িকারা। কিন্তু শিক্ষার অধিকার আইনে স্পষ্ট বলা আছে, সব স্তরের বিদ্যালয়কেই আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত হতেই হবে। মহাকরণ সূত্রের খবর, আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা পর্ষদগুলির অধীনে আনার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রেও যাবতীয় শর্ত মেনে নিয়মিত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। তাঁদের বেতন হবে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো। এখন যাঁরা সেগুলিতে সহায়ক-সহায়িকার কাজ করছেন, তাঁরা আংশিক সময়ের শিক্ষা-সহায়ক হিসেবে থাকবেন।
|
ধান কিনতে তৈরি হচ্ছে তালিকা, বলল রাজ্য |
ধান কেনার সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ১০৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫০ টাকা হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই দরেই অক্টোবর থেকে ধান কিনবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে গিয়ে সাত জেলার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। বর্ধমান ছাড়া বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধায়কদের থেকে ২০টি করে নাম চান, যেখানে চালকল নেই।ওই সব জায়গায় বেড, কনফেড, নাফেড, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগম ধান কিনবে বলে তিনি জানান। আজ, শুক্রবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের ৬ জেলা বিধায়কদের থেকেও তিনি একই ভাবে ২০টি জায়গার নাম চাইবেন বলে জানান। ওই জায়গাগুলিতে টানা পাঁচ থেকে দশ দিন ধান কেনা চলবে।
|
কাজের খোঁজ দেবে শ্রম দফতরের নতুন পোর্টাল |
রাজ্যের বেকার তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’ নামে একটি পোর্টাল চালু হল। বৃহস্পতিবার শ্রম দফতরের ওই পোর্টালের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনই অসংগঠিত শ্রমিকদের চিকিৎসা, বিমা সংক্রান্ত নানা ধরনের সুরক্ষা দিতে ‘সামাজিক মুক্তি কার্ড’ বিতরণ শুরু করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের কর্মসংস্থান কেন্দ্রগুলিতে বেকারদের নাম নথিভুক্ত করতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় ওই সব কেন্দ্র থেকেই সব তথ্য তুলে দেওয়া হবে শ্রম দফতরের পোর্টালে। এর ফলে যে-সব সংস্থা চাকরি দেবে, ওই পোর্টালের মাধ্যমে তারা যোগ্য প্রার্থী খুঁজে নিতে পারবে, প্রার্থীরাও পছন্দের সংস্থা বেছে নিয়ে আবেদন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, চাকরিপ্রার্থী এবং চাকরিদাতার মধ্যে সেতুবন্ধনের জন্যই এই ব্যবস্থা। ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’-এর কাজ যাতে ঠিক ভাবে হয়, তার জন্য তিনি শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গেই চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে কমপক্ষে ২০ লক্ষ অসংগঠিত শ্রমিককে মুক্তি কার্ড বিলি করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। |