দরপত্র জমা না দেওয়ার জন্য রেল ঠিকাদার শ্যামসুন্দর ধর্মশিখার কাছে ইদানীং হুমকি ফোন আসছিল। আর তা আমল না দেওয়াতেই বুধবার ভাড়াটে খুনি নামিয়ে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। আদ্রার ঠিকাদার খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে এই তথ্য জানতে পেয়েছে। শ্যামসুন্দরবাবুর পরিবার সূত্রেও একই দাবি করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বোকারোর অপরাধ চক্র আদ্রায় রেলের ঠিকাদারদের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতেই শ্যামসুন্দরবাবুকে খুন করে। পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “নিহত ঠিকাদার হুমকি ফোন পাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আরও কিছু তথ্য মিলেছে। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।” বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
প্রতি শুক্রবার আদ্রায় ডিআরএম অফিসে ঠিকাদারদের কাছ থেকে রেলের বিভিন্ন কাজের দরপত্র নেওয়া হয়। বোকারোর ঠিকাদার চক্রের মনোনীত ঠিকাদারই যাতে আদ্রায় টেন্ডারটি পান, সে জন্য ওই চক্র কয়েক বছর ধরে সক্রিয়। ওই চক্রের বিরুদ্ধে যারা গিয়েছেন, তাঁদের অনেককেই খুন করা হয়। গত ২ বছরের মধ্যে আদ্রার ডিআরএম অফিসের কাছেই তিন জন রেল ঠিকাদারকে দুষ্কৃতীরা খুন করে। শেষ খুনটি হয় মাস চারেক আগে। এরপরেই পুলিশ দরপত্র জমা দেওয়ার দিন ডিআরএম অফিসের কাছে কড়া পুলিশি বন্দোবস্ত করে। এতে ঠিকাদারেরা সাহস পেয়ে দরপত্র জমা দিতে যান। তাতেই বোকারোর ওই চক্র খেপে ওঠে বলে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি। ঠিকাদারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ফের আদ্রায় তারা খুনের ছবি ফিরিয়ে আনল।
বুধবার রাতেই আদ্রা পুলিশের একটি দল বোকারো ও মহুদায় তদন্তে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, সেখান থেকে কার্যত খালি হাতে তাঁদের ফিরতে হয়েছে। আদ্রায় আগের ঠিকাদার খুনের ঘটনাগুলির তদন্তও বরাবরই ঝাড়খণ্ডে গিয়ে আটকে গিয়েছে। এ বারও কি তাই হবে? প্রশ্ন উঠছে আদ্রায়। |