রবিবারেও সাঁইথিয়া ও কান্দির মধ্যে বেসরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক হল না। শনিবার থেকে হঠাৎ করে ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দাদের একাংশ। তাই ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, “বাস কর্মীদের গণ্ডগোলের খেসারত আমাদের কেন দিতে হবে?” তবে এই সমস্যা মীমাংসার জন্য আজ সোমবার বীরভূম জেলা প্রশাসন সাঁইথিয়ার বাসমালিক কল্যাণ সমিতিকে বৈঠকে ডেকেছে।
কান্দির চারটি বাস শ্রমিক ইউনিয়ান সাঁইথিয়ার বাস কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করছে বলে অভিযোগ। তা না দিতে চাওয়ায় শুক্রবার কান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাঁইথিয়ার কয়েকজন বাসকর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই শনিবার থেকে সাঁইথিয়ার বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য কান্দি ও বহরমপুরে পাঠানো বন্ধ করে দেয় সাঁইথিয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতি। তেমনি মুর্শিদাবাদ থেকে আসা বেসরকারি বাস সাঁইথিয়াতেও তাঁরা ঢুকতে দিচ্ছেন না। ফলে ওই রুটে কার্যত বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সাঁইথিয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতির কোষাধ্যক্ষ দুলালকৃষ্ণ চন্দ্রের দাবি, “অতিরিক্ত চাঁদার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই কান্দির বাস ইউনিয়নগুলি জুলুমবাজি চালাচ্ছে। দিন দশেক আগে আমরা কান্দি রুটে বাস চালানো বন্ধ করে দিই। তখন কান্দি পুর কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে জানান, কোনও সংগঠনই আর বাড়তি ভাড়ার জন্য দাবি জানাবে না। ফের গাড়ি চলাচল শুরু হয়। কিন্তু কান্দির বাস শ্রমিক ইউনিয়ানগুলি ফের অতিরিক্ত চাঁদার দাবি করতে থাকে। শুক্রবার আমাদের কর্মীদের ওরা মারধরও করে।” যদিও সে দিন মারধর নয়, ধস্তাধস্তি হয়েছিল বলে আগেই দাবি করেছিলেন কান্দি বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি ফুলু মিয়া। তাঁর দাবি, “কান্দির মহকুমা প্রশাসন আগেই বৈঠকে ঠিক করেছিল, আমরা কোনও জায়গায় চাঁদা দেব না। অন্যরা যাতে চাঁদা না নেয়, সে জন্য তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাঁইথিয়ার কর্মীরা আমাদের বাস থেকে ভাড়া নেওয়া বন্ধ করেনি। এ বার আমরা ওদের থেকে ভাড়া নেওয়া চালু করতে ওরাই গোলমাল পাকাচ্ছে।” তবে বীরভূমের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রশাসনিকস্তরে চেষ্টা চালাচ্ছি।” বীরভূম জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক শ্যামাশিস রায় বলেন, “আমি সোমবার সাঁইথিয়ার বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সমস্যার কথা শুনব। তার পর দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য মুর্শিদাবাদের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’’ |