শিক্ষালয়ে শাসন-বিতর্ক |
স্কুলে শাসনের এক্তিয়ার, পরিণতি নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে। পড়ুয়া-শিক্ষক সম্পর্কেও দেখা
দিচ্ছে টানাপোড়েন। কী ভাবছেন অভিভাবক-শিক্ষার্থী, শিক্ষক্ষ এবং সমাজকর্মীরা।
|
দু’তরফে সংযম চাই |
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেওয়া শাস্তি কি পড়ুয়াদের আচরণে পরিবর্তন আনতে পারে? ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক মধুর হওয়ার কথা। শিক্ষক তো বন্ধু, পথ প্রদর্শক। এই সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে, এমন কিছু করা অনুচিত। দু’পক্ষকেই সংযত হতে হবে।
রাজপ্রীতি সেন। অভিভাবিকা। |
|
কথা শুনতে হবে |
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের দূরত্ব তৈরি হলে পড়াশোনা ব্যাহত হবে। শিক্ষকদের আচরণ এমন না হওয়াই প্রত্যাশিত, যা ছাত্রদের কষ্ট দেয়। তবে ছাত্রছাত্রীদেরও আরও সুশৃঙ্খল হতে হবে। শিক্ষকদের কথা শুনতে হবে।
বুদ্ধদেব দাস। ছাত্র। মেদিনীপুর টাউন স্কুল। |
|
শৈশব যেন না ভুলি |
শিক্ষক-শিক্ষিকারা পিতৃ-মাতৃস্থানীয়। তাঁদের শাসন করার অধিকারও আছে। একাংশ অভিভাবকের সচেতনতা কম। তাঁরা কী ভাবে মানুষ হয়েছেন, ভুলে যাচ্ছেন। তবে একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা যে ভাবে মারধর করেন, তা-ও সমর্থনযোগ্য নয়।
দীপঙ্কর সন্নিগ্রাহী। শিক্ষক। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল। |
|
সম্পর্ক পণ্য নয় |
শিশুমন কষ্ট পাবে, এমন কিছু করা অনুচিত। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে। দু’তরফেই শ্রদ্ধা, মানবিক মূল্যবোধ, আন্তরিকতার কিছুটা অভাব ঘটছে। এ জন্য সমাজব্যবস্থাই দায়ী। নিজে স্কুলে পড়াই। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক পণ্য নয়--মনে রাখা উচিত।
সাধনকুমার দে। শিশু-কিশোর সংগঠনের কর্মকর্তা। |
|
কথার শাসনই যথেষ্ট |
অনেক ক্ষেত্রে কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করেন। এটা ঠিক নয়। ছাত্রদের সঙ্গে মিশতে হবে। আমি নিজে কলেজে পড়াই। শাসন থাকবে। কিন্তু দৈহিক ভাবে কেন, কথা বলেও তো শাসন করা যায়।
স্বপনকুমার জানা। অভিভাবক। |
|
ভালর জন্যই শাসন |
ছাত্রছাত্রীদের সংযত হতে হবে। এমন কোনও আচরণ করা অনুচিত, যা স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ ব্যাহত করে। শিক্ষিক-শিক্ষিকা যা বলেন, আমাদের ভালর জন্যেই। এটা ভুললে চলবে না। কিছু ঘটনা কাগজে পড়ছি। এ সব না-হলেই ভাল।
অনিশা চট্টোপাধ্যায়। ছাত্রী। অলিগঞ্জ গার্লস। |
|
সহিষ্ণুতা দরকার |
ছাত্রছাত্রীদের সন্তানদের মতো করেই দেখা হয়। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তো অভিভাবকের কাজই করতে হয়। তবে উভয়পক্ষেই কিছু ক্ষেত্রে সহিষ্ণুতার অভাব লক্ষ করা যায়। এই অবস্থা শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমাজের সবস্তরেই রয়েছে।
স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান শিক্ষিকা। বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ। |
|
সম্পর্কে শূন্যস্থান কাম্য নয় |
পড়াশোনার লক্ষ্য শুধু অর্থ উপার্জন নয়। তা আমাদের শিষ্টাচারও শেখায়। কিন্তু এখন ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের মাঝে শূন্যস্থান তৈরি হচ্ছে। এটা কাম্য নয়। তার ফলে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে। এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে দু’পক্ষকেই সংযত হতে হবে।
মৃণাল চৌধুরী। আইনজীবী, জন-প্রতিনিধি ও স্কুল সম্পাদক। |
|
|