মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বামফ্রন্টের আইন-অমান্য |
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ‘অস্বাভাবিক’ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার হুগলিতে আইন-অমান্য করল জেলা বামফ্রন্ট। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার বাম কর্মী-সমর্থক এ দিন দুপুরে চুঁচুড়ার আখনবাজারে জড়ো হন। সেখানে সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী, সাংসদ শক্তিমোহন মালিক, শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায়, বিনয় দত্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন দে, বিশ্বনাথ কারক, সিপিআই নেতা তিমির ভট্টাচার্য প্রমুখ। সভার পরে মিছিল করে আন্দোলনকারীরা ঘড়ির মোড়ে আসেন। সেখানেই আইন-অমান্য করে পুলিশের কাছে গ্রেফতার বরণ করেন আন্দোলনকারীরা। বাম নেতারা বলেন, দিনের পর দিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে হু হু করে। সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠছে। অথচ কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার মুখে হাজারো কথা বললেও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ। সুদর্শনবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি এবং রাজ্য সরকারের অপদার্থতায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শনবাবুর সংযোজন, “কলকাতার বাজারে কিছুটা ঘুরে লোকদেখানো চলছে। আর দৃষ্টি ঘোরানো বিরোধিতা করা হচ্ছে কেন্দ্রের। ফলে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে।”
|
শিশু চুরির চেষ্টার নালিশ, গ্রেফতার |
প্রসূতি বিভাগে ঢুকে সদ্যোজাত এক শিশুকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে এক মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন রোগীর আত্মীয়েরা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সোমা সাঁতরা। বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ বলে পুলিশের অনুমান। একই মত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নার্সদের। তাঁরা জানান, মহিলা প্রায়ই ওই ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। শিশুদের আদর করেন। এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ সুস্মিতা পাল নামে এক প্রসূতি শৌচাগারে গেলে তাঁর সদ্যোজাত ছেলেকে ওই মহিলা কোলে তুলে নিয়ে আদর করতে থাকেন। পাশেই ওই প্রসূতির মা রীতা মিত্র বসেছিলেন। তিনি এবং অন্য রোগিণীর আত্মীয়রা চেঁচামেচি জুড়ে দেন। ইতিমধ্যে সুস্মিতাদেবীও শয্যায় ফিরে আসেন। রীতাদেবী মহিলাকে আটকে রেখে কর্তৃপক্ষকে জানান। পুলিশ আসে। পুলিশের কাছে ধৃত মহিলা দাবি করেছেন, ফুটফুটে শিশুটিকে দেখে তিনি কোলে তুলেছিলেন। শিশুটিকে চুরি করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। তিনি প্রায়ই বিভিন্ন হাসপাতালে যান। তাঁর নার্স হওয়ার শখ ছিল। তাঁর নিজের মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। পুলিশ মহিলার কথার সত্যাসত্য যাচাই করছে। রোগীর আত্মীয়েরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে ‘অবাঞ্ছিত’ লোকজনের প্রবেশে নজরদারি নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন। হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “অবাঞ্ছিত প্রবেশ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সিসিটিভি বসিয়ে নজরদারি চালানো হবে।”
|
রবিবার রাতে খানাকুলের নিরঞ্জনবাটি গ্রামে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বাপের বাড়ির লোকজন অভিযোগ তুলেছেন। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম রিম্পা প্রামাণিক (১৯)। তাঁর বাপের বাড়ি স্থানীয় রঘুনাথপুরে। কিছু দিন আগে বিয়ে হয়েছিল রিম্পার। তাঁর এক আত্মীয় তপন পাত্র পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, রিম্পার শ্বশুর ও শাশুড়ি ওই বধূকে খুন করেছেন। রিম্পার স্বামী প্রসেনজিৎ কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। রিম্পাদেবীর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
|
অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ মিলল। সোমবার, বালির দুই নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে। পুলিশ জানায়, বছর পঁচিশের ওই যুবকের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে একটি ভাঙাচোরা মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। তার পরে সোমবার ওই মৃতদেহ মেলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক ভবঘুরে। |