হস্টেলে ছাত্রী-নিগ্রহের ঘটনায় বিশ্বভারতী-কর্তৃপক্ষের ভূমিকার সমালোচনা করলেন জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর)-এর সদস্যেরা। অবশ্য বিশ্বভারতী-কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাঁদের আচরণ শুধরে নিয়েছেন বলেও ওই কমিশনের প্রতিনিধিরা মত প্রকাশ করেছেন। কমিশনের এক দল প্রতিনিধি সোমবার বিকাশ ভবনে স্কুলশিক্ষা সচিব অর্ণব রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য বিনোদকুমার টিক্কু বলেন, “বিশ্বভারতী-কর্তৃপক্ষ ঠিক করেননি। যদিও সম্প্রতি ওঁরা নিজেদের ভূমিকা বদলে নিয়েছেন। কিন্তু প্রেস বিবৃতিতে ওই ছাত্রীর নাম প্রকাশ করে মোটেই ঠিক কাজ করেননি তাঁরা।” ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট’-এ এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও মন্তব্য করেন টিক্কু। তাঁর প্রশ্ন, “এক ব্যক্তি ১২ বছর ধরে ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অথচ তাঁর প্রশিক্ষণ নেই, এটা কী করে সম্ভব!” বিশ্বভারতী-কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ছাত্রীকে আপাতত বাড়ি থেকে যাতায়াত করে পড়াশোনা করার লিখিত অনুমতি দিয়েছেন। তবে তার অভিভাবকেরা এখনও নারাজ। এ দিন ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “অধ্যক্ষার চিঠি পেয়েছি। কিন্তু মেয়েকে আর পাঠভবনে পড়াতে চাই না।”
|
ডাকাতি রুখতে গিয়ে বোলপুরে দুষ্কৃতীদের হাতে অঙ্কন শিক্ষক সোমনাথ কর্মকারের খুনের ঘটনায় সোমবার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম চাঁদ মহম্মদ, বাড়ি বোলপুরের ভূবনডাঙায়। ধৃতকে এ দিনই বোলপুরের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “প্রফেসর্স কলোনিতে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় ধৃতকে এসিজেএম পীযূষ ঘোষ ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।” অন্য দিকে, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “চাঁদ মহম্মদকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছি। ঘটনায় জড়িত বাকি অপরাধীদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।” প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই রাতে বোলপুর শহরের প্রফেসর্স কলোনিতে দীপঙ্কর হালদারের বাড়িতে হানা দেয় তিন ডাকাত। তাতে বাধা দিতে গিয়েই গুলিতে খুন হন মুর্শিদাবাদের সূতি থানার বাসিন্দা সাতাশ বছরের তরতাজা যুবক সোমনাথ কর্মকার। সদ্য পাওয়া চাকরির পাশাপাশি তিনি দীপঙ্করবাবুর বাড়িতে একটি আর্ট স্কুলেও প্রশিক্ষণ দিতেন ওই যুবক। সেই সূত্রেই শনি ও রবিবার সোমনাথবাবু দীপঙ্করবাবুর বাড়ির নীচের একটি ঘরে থাকতেন। ঘটনার সময় ওই ডাকাতদলের অন্যতম সদস্য নব বিশ্বাস নামে বোলপুরের এক দাগি দুষ্কৃতী নিজেকে ছাড়াতে সোমনাথের পেটে গুলি করে। নবকে পিটিয়ে মেরেছিল ক্ষিপ্ত জনতা। ঘটনাস্থল থেকে অন্য দুই দুষ্কৃতী ছুটে পালিয়ে গিয়েছিল। ধৃত চাঁদ মহম্মদই তাদের অন্যতম বলে পুলিশের অভিযোগ।
|
নানুর থানার ফুটিসাঁকো এবং কীর্ণাহার দক্ষিণ পাড়া থেকে রবিবার ২০টি চোরাই মোটর বাইক উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম আলম শেখ ও রাহিল শেখ। প্রথমজনের বাড়ি লাভপুর থানার ঠাকুরপাড়ায়। অপর ধৃতের বাড়ি বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার সুলতানপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুর, লাভপুর, বোলপুর এলাকায় গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি মোটর বাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে। ধৃত রাহিল শেখের কাছে ওই চোরাই মোটর বাইকগুলি জমা থাকত বলে পুলিশ দাবি করেছে। ওই বাইক বিক্রি করার দায়িত্বও রাহিলেরই ছিল। খবর পেয়ে রবিবার ফুটিসাঁকো এলাকায় একটি চোরাই মোটর বাইক পাচার করার সময় তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাইক চুরির ঘটনায় কারা কারা জড়িত তা জানার জন্য ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, এ দিনই লাভপুর থানার পুলিশ মোহগ্রাম থেকে দু’টি মোটর বাইক, ১৩টি সাবপার্সিবল পাম্প মেশিন-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
|
একটি জুয়ার ঠেক থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার ইলামবাজার থানার ঘুড়িষা এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতেরা হল নাম অনিল লালা, সঞ্জিব খাঁ ও সন্তোষ মণ্ডল। প্রথম জনের বাড়ি ঘুড়িষা এলাকাতেই। বাকিদের বাড়ি বাঁকুড়ায়। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ তিন হাজার টাকা-সহ বেশ কিছু ভর্তি বিদেশী মদের বোতল উদ্ধার করেছে।
|
এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল ইলামবাজার থানার পুলিশ। রবিবার ইলামবাজারের চৌপাহাড়ি জঙ্গল লাগোয়া লেলেগড় এলাকা থেকে ওই দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |