তোর্সা আগ্রাসী হয়ে ওঠায় নদী আর স্কুলের দূরত্ব কমছে। এখন ওই দূরত্ব বড় জোর ১০ ফুট। কোচবিহার সদর মহকুমার মধুপুর পঞ্চায়েতের কামরাঙাগুড়ি পঞ্চম পরিকল্পনা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের এমন অবস্থা। ভাঙন ঠেকাতে পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে স্কুল ভবনটি নদী গর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। উদ্বিগ্ন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।” সেচ দফতরের কোচবিহার জেলার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সমীর সরকার এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি নতুন এসেছি। ফলে ওই এলাকা সরেজমিনে না দেখে কিছু বলা সম্ভব নয়। শীঘ্রই সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব।” |
বাসিন্দাদের অভিযোগ, টানা কয়েক বছর ধরে তোর্সা নদী স্কুলের দিকে সরছে। বালির বস্তা, বাঁশের খাঁচা বসিয়ে ওই ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছে। তাতে সমস্যা মেটেনি, বর্ষার শুরুতেই তোর্সার জল একদফায় স্কুল ভাসিয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে নদীর ভাঙন বাড়লে গোটা স্কুল ভবন তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্কুলে কোনও পাঁচিল নেই। ফলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। যার জেরে গত তিন বছর থেকে পড়ুয়ার সংখ্যাও ক্রমশ কমেছে। তাও ভাঙন ঠেকানো নিয়ে বা পড়ুয়াদের নিরাপত্তা আঁটোসাটো করতে পাঁচিল হচ্ছে না। প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গীতা রায় বলেন, “তোর্সা আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালে এখানে যোগ দেওয়ার পরে বহুবার নানা মহলে সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি। নদী এত কাছে চলে এসেছে, যাতে বাচ্চাদের চোখেচোখে রাখাটাই বড় কাজ হয়ে পড়েছে।” |