টুকরো খবর
অশালীন ‘আচরণ’, হেনস্থার নালিশ
চিকিৎসায় ত্রুটি ও রোগীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল সিউড়ি সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে ওই চিকিৎসক পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। তবে কোনও পক্ষই এ ব্যপারে কারও কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে মহম্মদবাজারের সারিকা বেগম নামে এক বধূ ডায়েরিয়া নিয়ে ভর্তি হন। ওই বধূর দাদা শেখ মঈমের অভিযোগ, “সকালে বোনকে মহম্মদবাজারে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে সিউড়িতে রেফার করা হয়। জরুরি বিভাগে দেখানোর পরে মেডিসিন বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বার বার বলা হলেও কোনও চিকিৎসক দেখেননি। ভোর ৪টে নাগাদ অমল রায় নামে ওই চিকিৎসক দেখেন।” তাঁর দাবি, “এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে আনায় তিনি আমাদের সঙ্গে আশালীন আচরণ করেন। পরে বন্ধুদের নিয়ে তাঁর বাড়িতে গেলে ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করে দেন। হেনস্থা করা হয়নি।” চিকিৎসক অমল রায় বলেন, “ওই সময় রোগীকে স্যালাইন দেওয়া জরুরি ছিল। অশালীন আচরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্টে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে আমাকে হেনস্থা করা হয়।” হাসপাতাল সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ, বলেন, “আমি বাইরে আছি। মেডিসিনের ওই চিকিৎসককে হেনস্থা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কোনও রতফ থেকে অভিযোগ জমা পড়েনি।”

মেডিক্যালে সাফাই অভিযান কমান্ডোর
ওঁদের দেখে ভয় পেয়ে যান অনেকে। ভাবেন, এই বুঝি কোনও অশান্তি হল! ওঁদেরই এ বার এক অন্য ভূমিকায় দেখা গেল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ করল জেলা পুলিশের কমান্ডো বাহিনী। রবিবার সকাল থেকে চলে সাফাই অভিযান। উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (ক্রাইম) দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরের সৌন্দর্যায়নে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে এসেছে পুলিশও। পুলিশের পক্ষ থেকেও হাসপাতাল চত্বরে গাছ লাগানো হবে। অনিয়মিত সাফাইয়ের ফলে মাঝেমধ্যেই হাসপাতাল চত্বরের আবর্জনার পাহাড় জমে। দুর্ভোগ বাড়ে। পুলিশের উদ্যোগে খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,রোগীর পরিজনেরাও। সহকারী সুপার শ্যামল পট্টনায়েক বলেন, “পুলিশের এ কাজ দেখে অনেকে উৎসাহিত হবেন।” আর পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর বক্তব্য, “পুলিশেরও একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেখান থেকেই এই উদ্যোগ।”

শিশু-ডায়েরিয়া নিয়ে কর্মশালা
‘প্রিভেনশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট অফ চাইল্ডহুড ডায়েরিয়া’ শীর্ষক একটি কর্মশালা রবিবার অনুষ্ঠিত হল পুরুলিয়ায়। উদ্যোক্তা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এবং ইউনিসেফ। এই প্রকল্পের জাতীয় প্রশিক্ষক পবন মণ্ডল বলেন, “গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাগুলিতে সচেতনতার অভাবে বেশির ভাগ শিশুমৃত্যুর কারণ ডায়েরিয়া।” এ দিন পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকদের এই কর্মশালায় ডাকা হয়েছিল বিষয়টি সম্পর্কে আলোকপাত করার জন্য। আগামী ২৮ জুলাই উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের চিকিৎসকদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে বলেও পবনবাবু জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির রায়নায়
নিজস্ব চিত্র।
রায়নার জ্যোৎসাদিতে একটি স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির আয়োজন করল জেলা পুলিশ। দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালের সহায়তায় রবিবার এই শিবিরে শিশু ও মহিলা-সহ বেশ কিছু মানুষের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। প্রসঙ্গত, এই জ্যোৎসাদি গ্রামেই ২০১০-এর ডিসেম্বরে পুলিশের গুলিতে দু’জন বাসিন্দার নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

চিকিৎসা-কর্মশালা
ডায়ালিসিস-নির্ভর রোগীদের চিকিৎসায় যে সব টেকনিশিয়ানরা কাজ করেন, তাঁদের জন্য রবিবার বিশেষ কর্মশালা হল কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ওই কর্মশালায় তাঁদের নানা অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কর্মশালাটির আয়োজন করেছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অফ সার্জন্স অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)। এএসআই-এর তরফে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “ডায়ালিসিস-নির্ভর রোগীরা আগের চেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকেন। তবে এই রোগীদের ‘ফিসচুলা’ সংক্রান্ত নানা সমস্যা হয়। সেই কারণেই টেকনিশিয়ানদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ জরুরি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.