একশো দিনের প্রকল্পের টাকা এ রাজ্যেও ঠিকমতো মানুষের হাতে পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ প্রধান বিরোধী দল সিপিএমের। ওই প্রকল্পের উপরে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেছেন, দুর্নীতির জন্য কাজের প্রকৃত সুফল মিলছে না। রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা অধুনা বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এ রাজ্যের ক্ষেত্রেও একই ‘সংশয়’ প্রকাশ করেছেন। সিপিএমের অভিযোগের তির রাজ্য সরকারের দিকেই।
বিরোধীদের বক্তব্য, শুধু কর্মদিবস বাড়ানোর ‘কৃতিত্ব’ জাহির করতে গিয়ে প্রকৃত মানুষের হাতে প্রকল্পের টাকা পৌঁছচ্ছে কি না, তা দেখছে না সরকার। তাই ‘বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে তারা। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যবাবুর বক্তব্য, “সরকারে থাকার সময়েও আমরা বলতাম, মন্ত্রী দুর্নীতি করলে তাঁকে সরানো যায়। অফিসার দুর্নীতিগ্রস্ত হলে তাঁকে সরানো যায়। কিন্তু মানুষকে সুবিধাবাদী করে দিলে ঠেকানো মুশকিল!” তাঁর অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে যত কাজ দেওয়া এবং টাকা খরচ করা হয়েছে বলে রাজ্য দাবি করছে, কেন্দ্রীয় সরকারে ওয়েবসাইটে প্রদত্ত মাস্টার রোলের সঙ্গে তা মিলছে না। খরচের হিসাবে গরমিল থেকে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও লাভ হচ্ছে না। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, বাম সরকারের থেকে অনেক কম সময়ে তাঁরা একশো দিনের কাজে গতি এনেছেন। সূর্যবাবুদের পাল্টা বক্তব্য, ওই দাবির সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। সূর্যবাবুর মতে, মানুষ যদি বুঝে যান, কাজ করুন বা না করুন, টাকা চলে আসবে, তা হলে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা থাকলে এ সব হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ রাজ্যে এখন কোথা থেকে কোথাকার টাকা কোথায় চলে যাচ্ছে, বোঝা মুশকিল!
|
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন’ ১৪-১৫ জুলাই মৌলালি যুবকেন্দ্রে ‘বিদেশি অর্থ সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে। ছিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবব্রত বসু, বিধায়ক নেপাল মাহাতো প্রমুখ। |