দলের শ্রমিক সংগঠনকে ফের ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সুসংহত’ করতে সক্রিয় হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের একাধিক শ্রমিক সংগঠন চালানো হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রবিবার মুর্শিদাবাদের অরাঙ্গাবাদে বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি দোলা সেন।
জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রুখতে তাঁর নির্দেশ, “প্যাড ও রসিদ ছাপিয়ে তৃণমূলের নামে শ্রমিকদের কাছ থেকে কোনও চাঁদা আদায় করার অনুমতি কোনও দলীয় কর্মী বা নেতাকে দেওয়া হয়নি।” সম্মেলনে জেলা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মন্ত্রী সুব্রত সাহাও। তাঁদের উপস্থিতিতেই দোলা স্পষ্ট বলেন, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই কথা ঘোষণা করা হল।”
জেলায় সংগঠনে যে কোন্দল আছে তা স্বীকার করে দোলা বলেন, “আমি শুনেছি, মুর্শিদাবাদে বিড়ি-সহ বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে তৃণমূলের নামে একাধিক শ্রমিক সংগঠন চালানো হচ্ছে। এই ধরণের বিশৃঙ্খলা কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না।”
সম্মেলনে বিড়ি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়ার দাবিও তোলেন দোলা। তিনি সিটু এবং আইএনটিইউসি-র নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন, “রাজ্য সরকার শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ধার্য করেছে দৈনিক ১৬২ টাকা। কিন্তু মুর্শিদাবাদে সিটু, আইএনটিটিইউসি নেতারা বিড়ি কারখানার মালিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে ৭৫টাকা করে মজুরি ধার্য করেছে। আমাদের সরকার এই বেআইনি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেনি।” এই প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও বলেন, “শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দিতেই হবে। এটাই সরকারি সিদ্ধান্ত।”
রাজ্য সরকার বিড়ি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পাইয়ে দিলে তাঁরা ‘স্বাগত’ জানাবেন বলে মন্তব্য করেছেন সিটুর জেলা সভাপতি আবু হাসনাত খান। জানাব। আইএনটিইউসি-র রাজ্য কমিটির সদস্য বাদশার আলিও বলেন, “যদি সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি পাইয়ে দেয় তবে অভিনন্দন জানাব আমরাও। কিন্তু শুধু ভাষণ দিলে হবে না, কাজটা করতে হবে।” |