গর্ভধাত্রী মা নিয়ন্ত্রণে আইন চায় কেন্দ্র |
গর্ভধাত্রী মা (সারোগেট মাদার)-এর চাহিদা বেড়েছে। গুজরাত, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে ক্রমশই বহরে বাড়ছে এই ‘জীবিকা’। কিন্তু একই সঙ্গে একে ঘিরে উঠে আসছে বেশ কিছু জটিল সমস্যাও। তাই গর্ভ ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ‘নিয়ন্ত্রণ’ আনতে দ্রুত নির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিলটি পেশ করতে চায় কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, নিঃসন্তান দম্পতি গর্ভ ভাড়া নিতেই পারেন। কিন্তু এখন প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, সন্তানের জন্মের পরে কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ভারতীয় গর্ভধাত্রী মায়েদের সাহায্য নিতে আসেন অনেক বিদেশি দম্পতি। কিন্তু জাপান, অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের অনেক দেশেই এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়া বৈধ নয়। ফলে ওই সন্তানদের জন্য নিজেদের দেশে স্বীকৃতি আদায় করতে পারেন না অনেক দম্পতি। ভারতের আদালত ওই শিশুদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতেও অনেক ক্ষেত্রেই রাজি হয় না। ফলে তাদের পরিচয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, যে সব দেশে গর্ভধাত্রী মায়ের মাধ্যমে সন্তান ধারণের পদ্ধতি ‘বৈধ’ নয়, সে সব দেশের নাগরিকরা ভারতে এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মহিলারাই গর্ভধাত্রী মা হতে পারবেন। শিশুর জন্মের পরে যে তার উপরে গর্ভধাত্রী মায়ের কোনও অধিকার থাকবে না, সে জন্য নিঃসন্তান দম্পতির সঙ্গে চুক্তি করাও বাধ্যতামূলক হবে। গর্ভ ভাড়া দেওয়ার পদ্ধতিটাকেই নিয়মে বাঁধতে চাইছে কেন্দ্র। ভারতে যে সব ক্লিনিক এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিঃসন্তান দম্পতিদের সাহায্য করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার আইন নেই। পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আইনে এই সমস্যা নিরসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
|
কন্যাভ্রূণ হত্যা খুনই, মত খাপ মহাপঞ্চায়েতের |
কেউ কন্যাভ্রূণ হত্যা করলে তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনার দাবি উঠল খাপ মহাপঞ্চায়েতে। হরিয়ানার ঝিন্দে আয়োজিত এই মহাপঞ্চায়েতে আজ হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের ৩০০টি খাপের প্রধান অংশগ্রহণ করেন। বিবিপুর গ্রামে আজকের সভায় বহু মহিলাও আসেন। খাপের কোনও সভায় এত বেশি সংখ্যক মহিলাকে এর আগে দেখা যায়নি। সভায় বলা হয়, কন্যাভ্রূণ হত্যার কারণেই দেশে মহিলার হার কমছে। তাই অবিলম্বে এই সামাজিক ব্যাধি দূর করা প্রয়োজন। আজ যে গ্রামে সভা আয়োজিত হয়েছিল সেখানে নারী-পুরুষের সংখ্যার হারে বিরাট ফারাক রয়েছে। তাই এখানে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। আজকের সভায় অন্যান্য নানান সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধেও প্রচার শুরু করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। মহিলাদের বাজারে যাওয়া ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের একটি খাপ পঞ্চায়েত সম্প্রতি যে ফতোয়া জারি করেছে, আজ তার কড়া সমালোচনা করেছেন জে ডি (ইউ)-এর সভাপতি শরদ যাদব। তিনি বলেন, “দেশে যেখানে আইন আছে সেখানে একটা খাপ পঞ্চায়েত কী করে এমন ফতোয়া জারি করে? এটা যাতে কোনও ভাবেই কার্যকর না হয় সে দিকে সকলকে নজর রাখতে হবে।” দেশের রাজধানীর এত কাছে এমন ফতোয়া অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও বর্ণনা করেন যাদব। |