অমৃতপাল মেহত আপাতত ব্রিটেনের শ্রীঘরে। ২০০৮ সাল নাগাদ তিনি জালিয়াতি করিয়া ব্রিটেনের ডাকব্যবস্থা হইতে প্রায় চার কোটি টাকা সরাইয়াছিলেন। এই সামান্য তছরুপের কারণে অবশ্য তিনি খবর হন নাই। ধরা পড়া ইস্তক অমৃতপাল মুখে কুলুপ আঁটিয়াছিলেন। তাঁহার আইনজীবী আদালতকে জানাইয়াছিলেন, অপরাধ করিয়া ধরা পড়ায় ঈশ্বর তাঁহার বাক্শক্তি কাড়িয়া লইয়াছেন। মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো যেহেতু পাপ, আদালত এই ঐশ্বরিক ঘটনায় বিশ্বাস করিয়া অমৃতপালকে হাসপাতালে পাঠায়, বিবিধ চিকিৎসার ব্যবস্থা করে, আর্থিক মন্দা-বিধ্বস্ত রাজকোষ হইতে বেশ কিছু পাউন্ড এই পঞ্জাবতনয়ের চিকিৎসায় খরচ হয়। অমৃতপাল রা কাড়েন নাই। কিন্তু, কাল হইলেন গোপাল ভাঁড়, থুড়ি, এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি অমৃতপালকে পরীক্ষা করিতেছিলেন। পরীক্ষান্তে অমৃতপাল যখন বিদায় লইতেছেন, তিনি পঞ্জাবি ভাষায় বলিলেন, ‘ভাগ্য শুভ হউক’। অভ্যাস অতি কঠিন বস্তু অমৃতপাল প্রত্যুত্তরে ধন্যবাদ জানাইয়া ফেলিলেন। অবশ্যই, মাতৃভাষায়। ব্যস, সটান জেলে ঠাঁই হইয়াছে। এই আখ্যান হইতে শিক্ষণীয়: কথায় কথায় ‘ধন্যবাদ’ জ্ঞাপনের কু-অভ্যাস ছাড়ুন। অন্য ভাবে বলিলে: শিষ্টাচার বিষবৎ পরিত্যাজ্য। |