নতুন ছবি, নতুন সেট। বেশ একটা পুনর্মিলনের আবহে পর্দায় পুরনো জুটি। ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি বেজেই ওঠে ‘আবার দেখা যদি হল সখা...!’ মন্দ কী?
কিন্তু ঠাঁই কি মিলবে ‘প্রাণের মাঝে’? ধন্দ যে সেখানেই। আর আলোচনার কেন্দ্রে যদি থাকেন ‘ভেরোনিকা’ দীপিকা পাড়ুকোন আর ‘রকস্টার’ রণবীর কপূর, তা হলে সম্পর্কের ‘ককটেল’ কোন পথে এগোচ্ছে, তা নিয়ে বাজি ধরার লোক কমই রয়েছে।
সামনের বছরই মুক্তি পাচ্ছে পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়ের পরবর্তী ছবি ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’। ২০০৮ সালের ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’-র পর রণবীর-দীপিকা জুটির এটাই প্রথম ছবি। আর সেই নিয়েই রীতিমতো সরগরম বলিউড। প্রশ্ন যে অনেক! ভাঙনের পর ফের কি ‘কাছাকাছি’ আসছেন রণবীর-দীপিকা? আবার কি মিলেমিশে যাচ্ছে রুপোলি পর্দা আর বাস্তবের রসায়ন? নাকি বন্ধুত্বেই থমকে থাকবে একটা মুচমুচে ‘কামব্যাক’-এর সম্ভাবনা?
উৎসাহের আগুনে ঘি ঢেলেছেন দীপিকা নিজেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “রণবীরের সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যা নেই আমার।” তবে কি ‘ব্রেক-আপ’ পরবর্তী সেই গুমোট দিনগুলো এখন অতীত? দীপিকার সাফ উত্তরপুরনো সব কিছু পিছনে ফেলে রণবীর এখন তাঁর ‘খুব ভাল বন্ধু’। |
শুধুই বন্ধু? সত্যিই তাই? যা! তাই হয় নাকি বিস্ময়ের অনেক ভাষা।
বছর চারেক আগে এই জুটির ‘সাহসী’ প্রেমকাহিনীই তো আলোড়ন ফেলেছিল বলিউডে। সেটা ২০০৮-এর মাঝামাঝি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’। কয়েক দিন পরেই শোনা গেল, পর্দার রসায়ন নাকি ঢুকে পড়েছে রণবীর-দীপিকার ব্যক্তিগত জীবনেও। এক সঙ্গে পানশালায় হাজির, বলিউডের অনুষ্ঠানে যুগলে, এমনকী বিমানবন্দরে ‘ঘনিষ্ঠ’ মুহূর্ত চিত্রগ্রাহকদের কার্যত উপহার দেওয়া আলোচনা বেড়েছে বই কমেনি। রণবীর-দীপিকা যে পর্দার বাইরেও জুটি বাঁধতে পারেন, এমন ইঙ্গিত মিলছিল তাঁদের ঘনিষ্ঠমহল থেকেও।
কিন্তু সেই ‘মধুচন্দ্রিমা’ বেশিদিন চলেনি। বছরখানেক পরেই ‘ব্রেক-আপ’। ২০১০-১১ সময়টায় পরের পর আইপিএল ম্যাচে বিজয় মাল্য-পুত্র সিদ্ধার্থ মাল্যর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন দীপিকা। মাঠের বাইরে তাঁদের ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে হাজারো চর্চা হয়েছে। ক্রমশ সেই রসায়নও ফিকে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে রণবীরের সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্কের’ টানাপোড়েন নিয়ে এত দিন চুপই থেকেছেন দীপিকা।
তা হলে হঠাৎ কেন মুখ খুললেন?
রণবীর-দীপিকার সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে এমন একটা জল্পনা কিছু দিন ধরেই বলিউডে শোনা যাচ্ছিল। তার মধ্যেই ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-র সেটে রণবীর-দীপিকাকে বেশ সহজ ভাবে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে দেখেই গুঞ্জন শুরু হয়, পর্দার সফল জুটির পুরনো সম্পর্ক হয়তো ফের জমতে শুরু করেছে।
উৎসাহীদের অবশ্য কোনও মুচমুচে নয়, পেশাদারিত্বের গল্পই শোনাচ্ছেন দীপিকা।
সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রণবীরের সঙ্গে এক সঙ্গে কাজ করতে তাঁর অস্বস্তি নেই। নইলে কোনও ভাবেই ওই ছবিতে কাজ করতে রাজি হতেন না। একই সঙ্গে বেশ আত্মবিশ্বাসী গলায় বলেছেন, “আমরা দু’জনেই ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনকে আলাদা রাখতে পারি। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে রণবীর আমার খুব ভাল বন্ধু।” অভিনেতা রণবীরও যে দীপিকার বিশেষ পছন্দের, সে কথাও জানাতে দ্বিধা করেননি বছর ছাব্বিশের এই অভিনেত্রী।
তাতেই অবশ্য গুঞ্জন থামার লক্ষ্মণ নেই। নিন্দুকদের মুখও বন্ধ হচ্ছে না। বরং তারা এর মধ্যে অন্য ‘সমীকরণ’ খুঁজে পাচ্ছেন। উৎসাহীদের একাংশের দাবি, সিদ্ধার্থ মাল্যর সঙ্গে ‘ছাড়াছাড়ি’ হয়ে যাওয়ার পরে দীপিকা এখন আক্ষরিক অর্থেই ‘একা’। সে কথা অভিনেত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন। সেই ‘একাকীত্ব’ কাটাতেই নাকি রণবীরের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’!
ভক্তরা যদিও রণবীর-দীপিকা জুটির পর্দায় ফেরাতেই বেজায় খুশি।
পর্দার বাইরে? পিকচার আভি বাকি হ্যায়...! |