ধর্ষণ করে খুন, অভিযোগে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মঙ্গলকোট |
এক শিশুকে খুনের অভিযোগে তার মামাকে গ্রেফতার করল বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। মৃতের নাম পায়েল মাড্ডি (৫)। বাড়ি মঙ্গলকোটের উজিরগ্রামে। বৃহস্পতিবার থেকেই ওই বালিকাকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। মৃত শিশুটির মা বুধিন মাড্ডি শুক্রবার মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার তাঁর মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন তাঁর পিসতুতো দাদা গোপাল বাসরা। তার পর থেকেই পায়েলকে পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্তে নেমে শুক্রবার ওই গ্রামের কাছেই স্থানীয় নতুনপুকুর উত্তরপাড়ে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরেই গলসি থানার বড় মোড়ের বাসিন্দা গোপালকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় বছর চব্বিশের গোপাল স্বীকার করেছে, ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই পায়েলকে নতুনপুকুরের কাছে নিয়ে গিয়েছিল সে। কিন্তু পায়েল ভয় পেয়ে চিৎকার করতে শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। শনিবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। |
লক্ষাধিক টাকার জাল বই উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
মলাট থেকে গোটা বই, প্রতিলিপি করে বই আকারে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে বর্ধমান পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রকাশক সভা। শনিবার বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে একটি ফোটোকপির দোকান থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার জাল বই উদ্ধার করল বর্ধমান পুলিশ। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস চৌধুরী শনিবার ওই সংস্থার সভাপতি অমিতাভ সেন ও সদস্য দেবাশিস রায়টৌধুরীকে বর্ধমানে ডেকে পাঠান। তাঁদের নিয়ে পুলিশ ওই দোকানে তল্লাশি চালায়। সেখানে প্রচুর পরিমাণে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের জাল বই আটক করে তারা। দোকানের মালিক সুনীল মণ্ডল ও কর্মচারী চঞ্চল দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, জেলার অনেক জায়গাতেই জাল বই বিক্রি করা হচ্ছে বলে সন্দেহ। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। |
জামুড়িয়ায় ধস
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
সপ্তাহ খানেক আগেই আগুন লেগেছিল জামুড়িয়ার বেলবাঁধ প্যাচ সংলগ্ন একটি অবৈধ খনিতে। সেই আগুন এখনও নেভেনি। সেখান থেকে আধ কিলোমিটার দূরে সিঙ্গারণ কালীমন্দিরের পিছনে শনিবার ফের ধসের জেরে প্রায় ১০ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। কালীমন্দিরের থেকে প্রায় ১০ ফুট দূরে ৪০ ফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে ওই গর্ত। অবিরাম ধোঁয়া বেরোচ্ছে সেখান থেকে। ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, এক সময়ে প্রচুর অবৈধ খনন করা হয়েছে এখানে। তার জেরেই এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। |