তিনি নিজে তিন বার চেষ্টা করেও যেতে পারেননি অলিম্পিকে।
টেবল টেনিসে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মান্তু ঘোষকে। জাতীয় কোচ থেকে শুরু করে জাতীয় সংস্থার সচিব। কিন্তু অলিম্পিয়ান হতে পারেননি। লন্ডন অলিম্পিকের আগে মান্তু ঘোষের তবু মনে হচ্ছে, তাঁর কোনও দুঃখ নেই। তাঁর দুই ছাত্রছাত্রী সৌম্যজিৎ ঘোষ ও অঙ্কিতা দাসের জন্য।
সৌম্যজিৎ এবং অঙ্কিতা এখন চিনে ট্রেনিং নিচ্ছেন। মান্তু শিলিগুড়িতে। নিয়মিত যোগাযোগ আছে। ছাত্রছাত্রীর কাছে কেমন ফল প্রত্যাশা করছেন? প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও উত্তরবঙ্গ টিটি সংস্থার প্রধান বললেন, “পদক আসার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আশা করছি, ওরা খুব ভাল খেলে আসবে। কোন রাউন্ড পর্যন্ত যেতে পারে, সেটা নিয়ে কিছু বলছি না। শুধু বলব, ভাল প্লেয়ারকে যেন হারিয়ে আসে।”
অলিম্পিক টিটিতে তিনটি হল থাকে। একটি প্রস্তুতির জন্য। একটি খেলার জন্য। মেন হলে সেরা ম্যাচগুলো হয় সেরা খেলোয়াড়দের। মান্তুর আশা, “প্রার্থনা করি, ওরা খেলবে মেন হলে। ওটাই বিশাল ব্যাপার।”
অঙ্কিতা |
সৌম্যজিৎ |
দুই ছাত্রছাত্রীর জন্য দুটি পরামর্শ থাকছে মান্তুর। যিনি দেশের হয়ে একাধিক ম্যাচ খেলেছেন। এক, অত বড় গেমসের শহরে পৌঁছেই সবার টেনশন হয়ে যায়। চাপ বাড়ে। এটা যাতে না হয়, সেই জন্য বলবেন দু’জনকে। দুই, যখন খেলার হলে ঢুকবে, তখনও অন্য রকম টেনশন থাকবে। সেটা স্পিরিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
জাতীয় দলের পোলিশ কোচ ফুচাস্কি এই দু’জনকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলিয়েছেন। ভাল খেলেছেন সৌম্যজিৎ, অঙ্কিতা। সেই জন্যই আরও আশাবাদী মান্তু। বললেন, “আমাদের সময়ে জুনিয়রদের খেলানো হত না সিনিয়রদের টুর্নামেন্টে। এই সুযোগটা ওরা পেয়েছে। ভাল খেলেছে। আমার মনে হয় না, অলিম্পিকে গিয়ে মানসিক কোনও সমস্যা হবে।” ভাল পারফরম্যান্স করার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ক্রীড়াসূচি। মান্তু চিন্তায়, “শুরুতেই কঠিন প্রতিপক্ষ না পায়। অলিম্পিকের মতো গেমসে এটাই ভারতীয়দের সমস্যা।”
চিন থেকে ১৯ তারিখ দিল্লি ফিরছেন দুই বাঙালি টিনএজার অলিম্পিয়ান। ২২ তারিখ সেখান থেকেই রওনা। মূলত অলিম্পিকের কিট ও বিমান টিকিট নিতে আসা। দলের সবাই এক সঙ্গে যাবেন। দু’জনের বাবা যাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে। মান্তু বললেন, “ওরা অনেক টুর্নামেন্ট খেলে এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী। আশা করছি, কোনও সমস্যা হবে না ওখানে।” |