টুকরো খবর
বাড়ি ভেঙে দেওয়ার নালিশ রামপুরহাটে
ইন্দিরা আবাস যোজনায় ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকার তিন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। রামপুরহাট থানার খরবোনা গ্রামের ওই ঘটনায় সোমবার রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রীতি সাহার ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যায়ে বাড়িটি নির্মাণ হচ্ছিল। অভিযোগ, গত ৬ জুলাই পড়শি চার বাসিন্দা ওই বাড়ি ভেঙে দেন। প্রীতি সাহার দিদি উনতি সাহার অভিযোগ, “বাড়ির মহিলাদেরও ওই চার জন মারধর করেছেন।” তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রীতিদেবী কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। খরবোনা গ্রামে বাপেরবাড়িতে তাঁর মেয়ে থাকে। অসহায় প্রীতিদেবীর নামে বছর খানেক আগে ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পে গৃহনির্মাণের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে উপভোক্তা হিসেবে জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো প্রথম পর্যায়ে প্রীতিদেবী বাড়ি নির্মাণের জন্য টাকা পেয়ে নিজের জায়গায় বাড়ি তৈরি করছিলেন তিনি। তাঁদের অভিযোগ, “বাড়ির জলনিকাশি হচ্ছে না এই দাবিতে ওই চার বাসিন্দা শনিবার প্রীতি সাহার নির্মীয়মাণ বাড়িটি ভেঙে দেন।” বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “আমি বাইরে আছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সংশ্লিষ্ট বনহাট পঞ্চায়েতের প্রধান ছায়া দাসের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ দুবরাজপুরে
কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সোমবার দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন এক আদিবাসী বধূ। দুবরাজপুর পুর এলাকার বাসিন্দা ওই বধূ রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে রঞ্জনবাজারের পরে ফাঁকা জায়গায় চারজন যুবক তাঁর পথ আটকায়। এক প্রকার টানতে টানতে তাঁকে কাছের একটি মুরগি খামেরের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে এক যুবক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই বধূর চিৎকার শুনে কাছের ইটভাটায় কাজ দেখতে যাওয়া এক যুবক ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই চার যুবকের এক জনের মোবাইল পড়ে যায়। ফোনটিও এ দিন পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই বধূ। তাঁর আরও অভিযোগ, “সঞ্জয় দে নামে ওই যুবক না এলে একই ভাবে ওরা আমার উপরে অত্যাচার করে খুন করে রেল লাইনে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।” তাঁর দাবি, অভিযুক্তরা আদিবাসী যুবক। তারা আদিবাসী ভাষায় কথা বলছিল। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের পরিচয় জানাতে পারলেও দেখলেই তাদের চিনতে পারবেন বলে ওই বধূ জানিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” সোমবার অভিযোগ জানাতে এসে ওই বধূর সঙ্গী কয়েক জন আধিবাসী মহিলা অবিলম্বে দোষীদের ধরার দাবি জানিয়েছেন।

ডেকে স্ত্রীকে গুলি করার অভিযোগ
ফোন করে নির্জন এলাকায় ডেকে স্ত্রীকে গুলি করার অভিযোগ উঠল এক স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সিউড়ি লালকুঠি পাড়ার ষাটপুকুরপাড়ে। পুলিশ জানায়, গুলিতে গুরুতর আহত বছর উনিশের ওই বধূর নাম রেজিনা বিবি। তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “অভিযুক্ত স্বামী শেখ বাবলুর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।” পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, সিউড়ির লালকুঠি এলাকার রেজিনা বিবির সঙ্গে এক মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল পাণ্ডবেশ্বরের দান্য গ্রামের বাসিন্দা শেখ বাবলুর। ওই বধূর মা জেলিখা বিবির অভিযোগ, “বিকেলবেলা ফোন করে বাবলু মেয়েকে ডেকেছিল। ওই পুকুর পাড়ে মেয়েকে গুলি করে পালায় সে।” পরে স্থানীয় বাসিন্দারা রেজিনা বিবিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

মা-মেয়ের অপমৃত্যু
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল মা ও মেয়ের। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে লাভপুরের এগুরিয়া গ্রামে। মৃতেরা হলেন অর্চনা পাল (৩৪) ও মেয়ে পিঙ্কি পাল (১৬)। ওই দিন বাড়িতে রাখা চালের পোকা মারার ওষুধ খায় মা ও মেয়ে। বাড়িতে মৃত্যু হয় পিঙ্কির। লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত্যু অর্চনাদেবীর। পুলিশ জানায়, আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
পাথর ভর্তি লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলার। সোমবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে লোহাপুর-পাঁচগ্রাম যাওয়ার রাস্তায়, নলহাটির ভালদিঘি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। মৃতার নাম রাকিবা বিবি (৪৫)। বাড়ি নলহাটি থানার বাঁধখালা গ্রামে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.