আমরি-কর্তা শ্রবণ তোদির জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে আর্জি জানিয়েছিল, তা খারিজ হয়ে গেল। গত ১২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আমরি হাসপাতালের অন্যতম ওই ডিরেক্টরকে জামিন দেওয়ার পরে রাজ্য শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার বিচারপতি আফতাব আলম এবং বিচারপতি এইচ এল গোখলে রাজ্যের আর্জি নাকচ করে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য: আমরি-কাণ্ডে ইতিমধ্যে চার্জশিট জমা পড়েছে। এমতাবস্থায় হাইকোর্ট জামিন দিতেই পারে, তারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। শ্রবণের জামিন খারিজের জন্য রাজ্যকে হাইকোর্টেই আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে জামিন-পাওয়া আমরি’র আরও ৬ জন ডিরেক্টরের ক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্টে জামিন খারিজের আর্জি জানিয়ে রেখেছে রাজ্য। গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঢাকুরিয়া আমরি’তে অগ্নিকাণ্ডে সরকারি ভাবে ৯১ জনের মৃত্যু হয়। ৯ ডিসেম্বর বিকেলে শ্রবণ-সহ হাসপাতালের পরিচালন বোর্ডের ৮ জন লালবাজারে আত্মসমর্পণ করেন। অসুস্থ এক ডিরেক্টরকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে। সকলের শেষে শ্রবণের জামিন হয়। ফেরার তিন ডিরেক্টর আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল, প্রীতি সুরেখা ও রাহুল তোদিকেও সম্প্রতি হাইকোর্ট আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে। আমরি-কাণ্ডের চার্জশিটে বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের ১২ জন-সহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করেছে কলকাতা পুলিশ।
|
চিকিৎসায় অবহেলায় কোমায় চলে গিয়েছেন এক যুবক। এই অভিযোগে শুক্রবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে একটি নার্সিংহোমে তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর পরিজনেরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পান্ডবেশ্বরের মহাল গ্রামের বাসিন্দা চিরঞ্জিত রুইদাস (২০) পেটে ব্যাথা নিয়ে ২৭ জুন এই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবনতি শুরু হয়। শুক্রবার রোগীর পরিজনদের জানানো হয়, তাঁরা যেন রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যান। খবর পেয়ে পরিজনেরা আসেন। উপস্থিত হন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকেরাও। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক অমিতাভ বিশ্বাস জানান, ওই রোগী যখন নার্সিংহোমে ভর্তি হন তখনই তাঁরা রোগীর পরিবারকে বলেছিলেন রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে। কিন্তু তার পরেও তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।
|
দাঁতন ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) সঞ্জীব রানার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সঞ্জীববাবু দুর্ব্যবহার করেন বলে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী অভিযোগ করেছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মী অর্পিতা সাঁতরা, আশা জানা-সহ কয়েক জনের অভিযোগ ছিল, বিএমওএইচের উপস্থিতিই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসামাজিক পরিবেশ তৈরি করছে। বিএমওএইচ সঞ্জীববাবু অবশ্য বলেন, “কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে পদক্ষেপ করছি বলেই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। ওই দুই স্বাস্থ্যকর্মীর কাজের মান অত্যন্ত খারাপ। এই নিয়ে আমিও অভিযোগ জানিয়েছি। তারও তদন্ত হচ্ছে।” ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের নেতা সুনীল করের বক্তব্য, “আমাদের সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে বিএমওএইচ খারাপ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, যাতে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাঁর বিরুদ্ধেই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
এডসের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে এ বারও রেড রিবন এক্সপ্রেস আসবে পশ্চিম মেদিনীপুরে। আগামী ১৬ জুলাই ট্রেনটি খড়্গপুর স্টেশনে এসে পৌঁছবে। ১৭ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। এই উপলক্ষে দু’দিন ধরে এখানে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হবে। শুক্রবার খড়্গপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে এ নিয়ে এক আলোচনা সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরি, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র প্রমুখ। ঠিক কী কী কর্মসূচী হবে, এ দিন তা নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য নানা কর্মসূচীর পাশাপাশি থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। |