অতিবৃদ্ধির রোগে ভুগছেন ২৩ বছরের তরুণী সিদ্দিকা পারভিন। ওই রোগ নিরাময়ে অস্ত্রোপচার সম্ভব, নাকি ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা হবে আপাতত এই প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড। দক্ষিণ দিনাজপুরের শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা পারভিনকে শুক্রবার পরীক্ষা করেন ওই বোর্ডের চিকিৎসকেরা।
ওই রোগের চিকিৎসায় যে-ধরনের ওষুধ লাগে, তা অত্যন্ত দামি। সরকারি হাসপাতালেও নিখরচায় সেই ওষুধ
|
সিদ্দিকা পারভিন |
পাওয়া যায় না। তা হলে ওষুধপত্রের খরচ কে বহন করবে, সেই প্রশ্নও উঠেছে। তবে সিদ্দিকাকে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কলকাতায় এনে চিকিৎসার ব্যাপারে যে-হেতু প্রশাসনিক উদ্যোগ ছিল, তাই পরবর্তী স্তরের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সরকারি সাহায্য মিলতে পারে বলে ওই তরুণীর পরিবার যথেষ্টই আশাবাদী।
পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমারের জন্য বৃদ্ধি-হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গিয়েছে ওই তরুণীর। আর সেই কারণেই ‘জাইগ্যানটিজম’-এ ভুগছেন সিদ্দিকা। অস্বাভাবিক হারে এমনই লম্বা হয়ে যাচ্ছেন যে, মাথা ক্রমশ ঝুঁকে পড়ছে সামনের দিকে। এ দিন হরমোন পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট পাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সিদ্দিকার বৃদ্ধি-হরমোন এবং ‘প্রোল্যাকটিন হরমোন লেভেল’ মাত্রা খুবই বেশি। তাঁর মস্তিষ্কের স্ক্যান হয়েছে। মেরুদণ্ডেও খুব ব্যথা হয় বলে তাঁর। তাই এ বার সিদ্দিকার শিরদাঁড়ারও স্ক্যান করার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সিদ্দিকার জন্য গড়া মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য, এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক শুভঙ্কর চৌধুরী বলেন, “অস্ত্রোপচার করা হবে, নাকি প্রাথমিক ভাবে ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা চলবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সমস্ত স্ক্যান রিপোর্ট দেখার পরে।”
আগামী সপ্তাহে মঙ্গল বা বুধবার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরা ফের সিদ্দিকাকে পরীক্ষা করবেন। তত দিন পর্যন্ত উপসর্গ ধরেই চিকিৎসাই চলবে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। |