|
|
|
|
পার্টি অফিস থেকে ধৃত হলদিয়ার সিপিএম নেতা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিস থেকে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রণব দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে তমলুকের নিমতৌড়ির ওই পার্টি-অফিসে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠনের বৈঠক ছিল। সে কারণেই হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের এই নেতা জেলা পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন। এ দিনই হলদিয়া আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ৩ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ২৪ জুন হলদিয়ায় তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষের যে ঘটনার সূত্রে প্রণববাবুকে পুলিশ ধরেছে, তাতে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে তৃণমূলের ২০ জন নেতা-কর্মীর নাম। তবে এ পর্যন্ত পুলিশ শুধু সিপিএমের ৫ জনকেই ধরেছে। সিপিএম নেতৃত্ব তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র অভিযোগ করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। সিপিএম-পলিটব্যুরোর সদস্য তথা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, “হলদিয়ায় বস্তি-উচ্ছেদের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের বস্তি-সংগ্রাম কমিটির সদস্যেরা হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। |
|
হলদিয়া আদালত চত্বরে প্রণব দাস। —নিজস্ব চিত্র |
তার পরেই এক তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হলদিয়ায় আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা হল। কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদেরই উল্টে ধরা হচ্ছে। এই তো আইন, সংবিধান মানার হাল!” এই প্রসঙ্গেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসেরবাঁধ-কাণ্ডে অভিযুক্ত ক্যানাসার-আক্রান্ত সিপিএম নেতা কিরীটী রায়ের জামিন বাতিলের জন্য বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালতে সরকারপক্ষের সওয়ালেরও সমালোচনা করেছেন সূর্যবাবু। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেবের অভিযোগ, “গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার, রাজনৈতিক শিষ্টাচার ধ্বংস করার কার্যক্রম চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।” প্রতিবাদে ১৩ জুলাই জেলার ব্লকে ব্লকে ধিক্কার দিবস ও ১৬ জুলাই আইন অমান্যের ডাক দিয়েছে সিপিএম।
জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারীর বক্তব্য, “পুলিশই যা করার করছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দলের ভূমিকা নেই। ৩৪ বছর যারা সন্ত্রাস করেছে তাদের মুখে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কথাও মানায় না।” জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনের দাবি, “তদন্তে যেমন যেমন তথ্য উঠে আসছে, তেমনই পদক্ষেপ করছে পুলিশ। পক্ষপাতের অভিযোগ ঠিক নয়।” |
|
|
|
|
|