|
|
|
|
বিতর্কিত জমি দখল করে বরখাস্ত পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি বিবাদ চলছিল। দু’পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তদন্তকারী অফিসার নর্মদেশ্বর বাজপেয়ি সমস্যার চট্জলদি সমাধানের সূত্র দেন দুই ভাইকে। বিতর্কিত জমি নিজের স্ত্রীর নামে লিখিয়ে নেন তিনি। বলেন এর পর নতুন করে দুই ভাইকে তিনি ওই জমি ভাগ করে দেবেন। গ্রামের সরল মানুষ সহজেই পুলিশকে বিশ্বাস করেছিল। শেষ পর্যন্ত জমি পুরোপুরি তাদের হাত ছাড়া হওয়ায় পুলিশের উপর মহলের কাছে দরবার করেন দুই ভাই। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হন বাজপেয়ি। পুলিশের চাকরি থেকেই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে।
বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার মনিয়ারি থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “একটি জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ওই পুলিশ কর্মী ছিলেন সেই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার। দু’ভাইকে সে আশ্বাস দেয়, জমিটি প্রথমে আমার নামে লিখিয়ে দাও, পরে এই ঝামেলা আমি মিটিয়ে জমি তোমাদের নামে করে দেব।” জমি লিখিয়ে নেওয়ার বেশ কয়েকমাস পরে সন্দেহ হওয়ায় দুই ভাই ত্রিহুত রেঞ্জের আইজি ভূতেশ্বর পাণ্ডের কাছে অভিযোগ জানান। আই জি ঘটনার তদন্ত করে জানতে পারেন ওই পুলিশ কর্মী পরিবারটিকে ঠকিয়ে নিজের স্ত্রীর নামে জমি লিখিয়ে নিয়েছে। আই জি বলেন, “রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা নেওয়ায় ওই অফিসারকে একেবারে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
এরই পাশাপাশি, তদন্তে গাফিলতির ফলে অপরাধীদের জামিন হওয়ায় মুজফফ্পুরের আরও চার পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউ পি রামা, রাজু নয়ন, ঝুমন আনসারি এবং সহেন্দ্র সিংহ নামে ওই চার পুলিশ অপিসার বিভিন্ন ঘটনার তদন্তকারী অফিসার হয়ে ঠিক ভাবে কাজ করেননি। পুলিশ কর্তারা মনে করেন, তাদের গাফিলতিতে সময় মতো চার্জশিট দেওয়া যায়নি। ফলে অপরাধীরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। সেই গাফিলতির কারণেই তাঁদের এই শাস্তি। |
|
|
|
|
|