|
|
|
|
‘নন্দীগ্রাম’ নাগরির পাশে সরকারের শরিক শিবুও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
নাগরি যেন ঝাড়খণ্ডের নন্দীগ্রাম। পশ্চিমবঙ্গে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্য বোধ হয় শিবু সোরেন, বাবুলাল মরান্ডিদেরও অনুপ্রাণিত করেছে। সকলেই এখন জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে নাগরির আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এমনকী নন্দীগ্রাম পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের বধ্যভূমি হয়ে দাঁড়ালেও ঝাড়খণ্ডে সিপিএম নাগরির জমি আন্দোলনের শরিক হয়ে সংগঠন ও ভাবমূর্তি বাড়াতে চাইছে।
নাগরির অধিগৃহীত ২২৭ একর কৃষিজমি পুনর্দখলে আদিবাসীদের লড়াইয়ের পাশে থাকার কথা আজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকারের অন্যতম শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-ও। জোট-সঙ্গীর আচমকা এই সিদ্ধান্তে মহা বিড়ম্বনায় পড়েছে প্রধান শরিক বিজেপি। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব নাগরি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁরা বলেন, “বিষয়টি স্পর্শকাতর। এক দিকে আদালতের রায়, অন্য দিকে কৃষকদের জীবন ও জীবিকার প্রশ্ন।”
আবার জেএমএম-এর থেকে কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম)। অধিগৃহীত জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সপার্ষদ অনশনে বসছেন জেভিএম-প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডি। সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ যাদব বলেন, “ছোটনাগপুর টেনেন্সি অ্যাক্ট উপেক্ষা করে নাগরির জমি অধিগ্রহণ ঠিক হয়নি।”
অধিগ্ৃহীত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে নাগরির ‘জমিন বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি’র অবরোধে আজও সকাল থেকে অচল হয় কাঁকে-পাত্রাতু রোডের যান চলাচল। আন্দোলনকারী দুই মহিলা-সহ ধৃত চার জনের মুক্তির দাবিতে গত কাল থেকে শুরু হয়েছে ওই অবরোধ। এ দিন দুপুরে সংঘর্ষ সমিতির এক প্রতিনিধি দল রাঁচিতে জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের বাসভবনে যান। আন্দোলন নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে জেএমএম-এর সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভটাচার্য বলেন, “গুরুজির (শিবু সোরেন) স্পষ্ট কথা, যে ভাবেই হোক না-কেন কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। তাই নাগরির কৃষকদের পাশে থাকবে জেএমএম।”
জেএমএমের সমর্থন পাওয়াটা নাগরির জমি আন্দোলনকারীদের বড় সাফল্য বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসনের একাংশ। একই ভাবে জেভিএমের সমর্থন আদায়ও অত্যন্ত রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
যার প্রভাব ঝাড়খণ্ডে ভোটের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। |
|
|
|
|
|