প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি, বিকম তিন শাখারই অনার্সে পাশের হার গত বছরের থেকে কমে গিয়েছে। তার মধ্যে আবার পাশের হার সব থেকে কম বিকমে। শুক্রবার ওই স্নাতক অনার্সের ফল বেরিয়েছে। পুনর্মূল্যায়নের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা এ বার নিজেদের উত্তরপত্রও দেখার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
এ বছর বিএ, বিএসসি, বিকমে অনার্স-সহ পাশের হার যথাক্রমে ৭৮.৯৫%, ৮৪.২৪% এবং ৭২.৮৮%। গত বছর ছিল ৮২.৭১%, ৮৫.২২% এবং ৮৪.০৪%। হার কমল কেন, বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ এখনই তার ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না। তাঁরা জানান, ফল বিশ্লেষণ না-করে কিছু বলা যাবে না। উপাচার্য সুরঞ্জনবাবু অবশ্য বলেন, “পঠনপাঠনের মান উন্নত হয়েছে বলেই প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের সংখ্যা বেড়েছে। আর যারা পড়াশোনা করেনি, তারা পাশ করতে পারেনি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সংসদের সচিব শ্যামল সরকার জানান, এখন পার্ট ওয়ান, পার্ট টু-তে ‘ব্যাক’ থাকলেও পার্ট থ্রি-তে বসা যায়। পার্ট থ্রি পাশ করলেও যাঁরা আগের দু’টি পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি, তাঁদের সংখ্যা বেশি হওয়ার জন্যই পাশের হার গত বছরের থেকে কমে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ধ্রুবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিকমে এমন ছাত্রের সংখ্যা ২১০১, গত বছর তা ছিল ৪৪১। উপাচার্য জানান, ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে কলেজের কাছে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানাতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে সেই আবেদন পাঠাবে কলেজ। তিনি বলেন, “এ বছর থেকে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পরীক্ষার খাতা দেখতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই তাঁদেরএই সুযোগ দিচ্ছে। প্রতিটি পত্রের জন্য ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে।” উত্তরপত্র দেখার জন্য ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে কলেজের কাছে আবেদন জানাতে হবে এবং কলেজকে তা ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠাতে হবে বলে জানান সুরঞ্জনবাবু। তিনি বলেন, “যে-পরীক্ষার্থী একই সঙ্গে পুনর্মূল্যায়ন এবং উত্তরপত্র দেখার জন্য আবেদন জানাবে, আগে তার উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়ন হবে। তার পরে সে তা দেখতে পাবে।” |