গোড়া থেকেই পর্যটনে অগ্রাধিকারের কথা বলে আসছে নতুন সরকার। কলকাতাকে লন্ডন, দার্জিলিংকে সুইৎজারল্যান্ড বা দিঘাকে গোয়ার মতো আকর্ষক করে তোলার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। কিন্তু ক্ষমতায় আসার এক বছর পরেও কার্যত পাল্টায়নি পর্যটন দফতর।
মহাকরণ থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটাপথে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বসেছে রাজ্যের বৃহত্তম পর্যটন-মেলার আসর। এনভিডি-র সহায়তায় আনন্দবাজার পত্রিকা আয়োজিত তিন দিনের ‘ট্যুরিস্ট স্পট’। অথচ রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সেখানে দেখাই গেল না।
মহারাষ্ট্র, হিমাচল, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে ঘরের কাছের ঝাড়খণ্ড-ওড়িশা কিন্তু সেখানে হাজির বাঙালিকে নিজেদের রাজ্যে স্বাগত জানাতে।
খাস কলকাতায় কেন ‘নিজ ভূমে পরবাসী’ থেকে গেল পর্যটন দফতর? আম-বাঙালি থেকে বিশিষ্ট জন সকলের মনে এ প্রশ্নটাই ঘুরপাক খেয়েছে দিনভর। |
গ্রীষ্মের ও পুজোর ছুটিতে ট্রেকিং-সফরের মাঝে কাছাকাছি একটা ছোট সফরের পরিকল্পনা ভাঁজতেই শনিবার ‘ট্যুরিস্ট স্পট’-এ এসেছিলেন বারাসতের নীলগঞ্জের মৃদুল বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টলটা খুঁজেই পেলেন না তিনি। রাজ্য পর্যটন দফতর আসেনি শুনে হতভম্ব মৃদুলবাবু। আর অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী ক্ষুব্ধ। তাঁর কথায়, “এর থেকে লজ্জার কিছু হতেই পারে না।” লোকে এত কেরল-কেরল করে স্রেফ পর্যটন পরিকাঠামোর জন্যে। পরিকাঠামোর অভাবেই আমাদের পুরুলিয়া-বাঁকুড়া এখনও কল্কে পেল না। আফশোস করে জানালেন অর্জুন।
বাংলা ছবির জন্য আউটডোর লোকেশনের হদিস পেতেও পর্যটন মেলা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন চিত্রপরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। চিত্রনাট্যের প্রয়োজন ছাড়া স্রেফ ‘গ্ল্যামার’ বাড়াতে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। কিন্তু নিজের রাজ্যে বা কাছে-পিঠে আগেকার চিত্রপরিচালকদের পছন্দের জায়গাগুলো আর আগের মতো নেই। শু্যটিংয়ের জন্য থাকার সুব্যবস্থায় এ তল্লাটে ঘাটতি আছে বলে মনে করছেন সৃজিত।
ভিন্ রাজ্যের প্রতিনিধিদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ‘ট্যুরিস্ট স্পট’ প্রথম দিনেই জমজমাট। ওড়িশার পর্যটন উন্নয়ন নিগম এ বার বাংলায় পুস্তিকা ছাপিয়ে প্রচার করছে। মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধি সুরেশ পাটিল জনে-জনে আলফান্সো আমের আঁতুড়ঘর রত্নগিরি ও নিজেদের রাজ্যের অজানা উপকূলের মাহাত্ম্য বোঝাচ্ছেন। হিমাচলের স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে চুঁচুড়ার ৬৭ বছরের অনিলকুমার দত্ত জোর গলায় তাঁর কন্যাসম সুপর্ণা চক্রবর্তীকে সাহস জোগাচ্ছিলেন। “অত উঁচু বলে নিঃশ্বাসের কষ্ট হবে ভাবছ? এক বার ঘুরেই এস।” দু’মাস আগে বহাল তবিয়তে মানালি থেকে কেলং, লেহ্-কার্গিল হয়ে সিমলা ঘুরে এসেছেন অনিলবাবু। সুপর্ণাদের আত্মীয়-বন্ধু নিয়ে ২৩ জনের বেড়ানোর টিম। পশ্চিমবঙ্গের স্টল না-থাকায় হতাশ তাঁরাও।
বাংলার মুখ দেখতে না-পেলেও ‘ট্যুরিস্ট স্পট’-এ বিদেশ-সফরের খুঁটিনাটি খবর ভরপুর। এত সস্তায় ব্যাঙ্কক-সিঙ্গাপুর যাওয়া যায় দেখে হামলে পড়েছে বাঙালি। ইউরোপ-আফ্রিকা ‘প্যাকেজ ট্যুর’ না একটু বুদ্ধি করে শুধু স্পেন বা ইতালি পয়সা উসুল কোনটায়? তা নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। ও-পার বাংলা তথা বাংলাদেশও জ্বলজ্বল করছে। পা ছড়িয়ে আড্ডার ভঙ্গিতে ঢাকার গরগরে ভর্তা বা কুমিল্লার শুঁটকি নিয়েও চলছে তত্ত্ব-তালাশ। শুধু বেড়ানোর ঠিকানাই নয়, বেড়ানোর অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী ক্যামেরারও খোঁজ-খবর দিচ্ছে ‘ট্যুরিস্ট স্পট’।
ছোট-বড় বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা অবশ্য ডুয়ার্স বা উত্তরবঙ্গ প্যাকেজের খবর এনেছে। মন্দারমণির রিসর্টও অংশ নিয়েছে। তবুও পশ্চিমবঙ্গ নেহাতই সংখ্যালঘু। গত তিন বছর এই মেলায় অংশ নিয়েছিল রাজ্য পর্যটন দফতর। এ বারই ব্যতিক্রম হল। এটুকু বাদ দিলে ‘পায়ের তলায় সর্ষে’দের জন্য ‘ট্যুরিস্ট স্পট’-এ প্রাপ্তির ভাঁড়ার উপচে পড়েছে।
|
আসতে পারে আইপ্যাড মিনি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাজারে ফের ঝড় তুলতে পারে অ্যাপল। প্রচলিত আইপ্যাডের ছোট সংস্করণ চলতি বছরেই বাজারে আসতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। এই আইপ্যাড মিনি ট্যাবলেট কম্পিউটারের বাজারে অন্য প্রতিযোগীদের রীতিমতো বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আই প্যাডের ছোট সংস্করণের ধারণাটা নতুন নয়। অ্যামাজন সাত ইঞ্চি লম্বা কিন্ডল ফায়ার বাজারে আনার পরেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেন অ্যাপলের কর্তারা। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি অ্যাপলের মুখপাত্র। বাজারে রয়েছে গুগলের ছোট ট্যাবলেট নেক্সাস ৭-ও। ফলে, প্রতিযোগিতা বেশ তীব্র। খুব ছোট ট্যাবলেট তৈরিতে সায় ছিল না অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসের। অত ছোট ‘টাচস্ক্রিন ডিভাইস’ ব্যবহার কঠিন বলে মনে করতেন তিনি। কিন্তু, জোবসের মৃত্যুর পর থেকে বাজার বদলেছে। বদলেছে ক্রেতাদের চাহিদাও। |