|
|
|
|
জোগান বাড়ায় দাম কমছে, দাবি পরিদর্শক দলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
সব্জির দাম ঠিক ঠিক নেওয়া হচ্ছে কি না তা সরেজমিন খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রামপুরহাট এলাকার সব্জি বাজার পরিদর্শন করল কৃষি বিভাগ ও রামপুরহাট নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। ওই দু’টি বিভাগ ছাড়াও এ দিন বাজার পরিদর্শন করেন খাদ্য দফতরের আধিকারিক-সহ রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের দু’জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। রামপুরহাট মহকুমা কৃষি আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার এবং রামপুরহাট নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সম্পাদক নৃপেন্দ্রকুমার দত্ত বলেন, “সব্জি বাজারে গত কয়েক দিনের তুলনায় সব্জির দাম অনেকটা কমেছে।” তাঁদের দাবি, “শাক-সব্জির দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।”
প্রসঙ্গত, সব্জির চড়া দামের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার বাজারগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে। ‘কৃত্রিম’ ভাবে যাতে বাজারে সব্জির দর না বাড়ে, তা দেখতেই সরকারি স্তরে এই নজরদারি শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে প্রশাসনের তরফে ব্যবসায়ী সমিতির লোকজনদের নিয়ে ডাকা হয়েছে জরুরী বৈঠকও। শুক্রবারের মতো বৃহস্পতিবারও সব্জির বাজারদর নিয়ন্ত্রণে জেলার সিউড়ি, বোলপুর ও রামপুরহাট মহকুমার সব্জি বাজারগুলি ঘুরে দেখেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। বিভিন্ন বাজার ঘুরে সকলেই জানিয়েছেন, বাজারদর এখন আগের তুলনায় অনেকটাই কম। রামপুরহাট ছাড়াও, শুক্রবার জেলার আরও অনেক জায়গায় সব্জি বাজারে ঘুরে দেখেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। বিক্রেতা-ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁরা কোন শাক-শব্জির কত দাম তা খাতায় সঙ্গে সঙ্গে লিখে নিচ্ছেন। |
|
শুক্রবার কীর্ণাহারে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন কীর্ণাহারে সব্জি বাজার ঘুরে দেখেন সরকারি প্রতিনিধি দল। রামপুরহাট নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সম্পাদক নৃপেন্দ্রকুমার দত্ত বলেন, “দু’সপ্তাহ আগে বাজারে দেশি পটলের দাম ছিল ২২ টাকা কেজি।” তাঁর দাবি, “শুধু পটল নয়, অন্যান্য শাক-সব্জি দু’সপ্তাহ আগে যা দামে বিক্রি হয়েছে, এদিন তার অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে।” কৃষি দফতর ও বাজার নিয়ন্ত্রিত সমিতির দাবি, সম্প্রতি বৃষ্টিপাতে শাক-সব্জির ফলন ভাল হওয়ায় বাজারে আমদানি হচ্ছে। তাই দাম কমে যাওয়ার যেমন কারণ আছে তেমনি সরকারি নজরদারি বাড়ানোর জন্যও মধ্যস্থকারীরা কিছুটা হলেও সতর্ক হওয়ায় দাম কমেছে বলে তাঁদের দাবি। ক্রেতা সুজিতভূষণ গুপ্ত বলেন, “সব্জির দাম কমছে ঠিকই। তবে আলুর দাম কমছে না। আলু ছাড়া কোনও রান্নাই তো করা যাচ্ছে না। শাক-সব্জির মতো আলুর দামও নিয়ন্ত্রণে নজরদারি করলে ভাল হয়।” রামপুরহাট হাটতলার আলু ব্যবসায়ী তরুণকুমার দত্ত বলেন, “হিমঘর থেকে যে দামে আমরা আলু পাচ্ছি তার সঙ্গে বাজারে নিয়ে আসার খরচ যোগ করে দাম ঠিক করতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত হিমঘরের মালিকদের উপরে।” নৃপেন্দ্রবাবু বলেন, “বাজারে জোগানের কৃত্রিম অভাব তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বাজারে আলু জোগানের অভাব আছে। আমরা শীঘ্রই হিমঘরের মালিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করব। যাতে হিমঘর থেকে বাজারে আলুর জোগান ভাল আসে।” |
|
|
|
|
|