রেলের ভাড়া না-বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হচ্ছে। শনিবার কার্যত সেই সমালোচনারই জবাব দিলেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। এ দিন হাওড়া স্টেশনে চারটি নতুন ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি রেলের ভাড়া অপরিবর্তিত রাখার এই সিদ্ধান্তকে ‘জনপ্রিয়তম’ বলে মন্তব্য করেন এবং এর যাবতীয় কৃতিত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এ বছর কেন্দ্রীয় রেল বাজেটে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে মমতার কোপে পড়েন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। দলের নীতির বাইরে গিয়ে এই প্রস্তাব করায় তাঁকে পদত্যাগও করতে হয়। তাঁর পরিবর্তে মুকুলবাবুকে রেলমন্ত্রী করেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও দীনেশের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবকে বিভিন্ন মহল থেকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। |
রেলমন্ত্রী মুকুল রায় একাধিক ট্রেনের উদ্বোধনে। শনিবার হাওড়া স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র |
নিত্যযাত্রীদেরও একটা বড় অংশ এতে আপত্তি জানাননি। বরং ভাড়া বাড়িয়ে পরিষেবার মান বাড়ানোর কথা বলেন তাঁরা। রেলমন্ত্রী এ দিনের অনুষ্ঠানে বলেন, “এখন জনপ্রিয়তম সিদ্ধান্ত হল রেলের ভাড়া না-বাড়ানো। মাসে এক-দু’হাজার টাকা রোজগার করতে কত মানুষ দৈনন্দিন রেলে চড়ে কলকাতায় আসেন। ভাড়া বাড়লে তাঁদের কত সমস্যা হত!” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে রেলমন্ত্রী বলেন, “এই গরিব মানুষদের মাসিক টিকিট কাটার সামর্থ্য নেই। এঁরা, বিশেষত মহিলারা কুণ্ঠিত ভাবে যাতায়াত করতেন। ভাবতেন, এই বোধহয় আরপিএফ ধরল, এই বোধ হয় ইজ্জত চলে গেল। এঁদের জন্য মমতা মাত্র ২৫ টাকায় ‘মান্থলি’ টিকিটের বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন।”
অনুপস্থিত থেকেও এ দিনের অনুষ্ঠানের গোটাটা জুড়েই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরই বিভিন্ন পরিকল্পনা যে তিনি বাস্তবায়িত করছেন, মুকুলবাবু তা বারবার স্মরণ করিয়ে দেন। রেলমন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রেলের নিরাপত্তারক্ষীর সব পদ পূরণ করা হবে। সেই অনুযায়ী, গত এক বছরে ৭৪ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও ১ লক্ষ ৭০ হাজার কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চালু আছে।” |