মনোরঞ্জন...
বুম্বাদা’র সংসার
প্রণাম লাইট্স, ক্যামেরা, অ্যাকশন
“ওঠার আগে স্টেজকে প্রণাম করতে হবেই। আজকের অভ্যাস নয়, যবে থেকে শুরু করেছি, স্টেজে প্রণাম না করে উঠিনি। আর শুধু স্টেজ কেন, পৃথিবীর যে কোনও স্টুডিওতে ঢুকলেই প্রণাম মাস্ট। ভাই, তুমি স্টুডিওকে সম্মান না দিলে, স্টুডিও-ও তোমায় কিছু ফিরিয়ে দেবে না,” বক্তব্য নায়কের। শ্যুটিং শুরু। একটা এপিসোডের শ্যুটিং টানা চার ঘণ্টা চলে। দিনে দু’টো এপিসোড শ্যুট করা হয়।

আড্ডা গেট, সেট, গো
মেক-আপ আর শো-য়ের ফাঁকে ফাঁকে চলছে আড্ডা। টিভি অ্যাঙ্করদের মধ্যে আপনার সবচেয়ে প্রিয় তিনজন কারা? “প্রথম নামটা তো অবশ্যই অমিতাভ বচ্চন। ওই ভদ্রলোকের প্রোগ্রাম দেখলে বোঝা যায় কী পরিমাণ হোমওয়ার্ক করেছেন। প্রত্যেকটা জিনিস আগে থেকে রিহার্স করা আছে। দ্বিতীয় নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ও অসম্ভব স্বতঃস্ফূর্ত। দর্শকদের সঙ্গে খুব সহজে কানেক্ট করতে পারে। তৃতীয় নাম কর্ণ জোহর,” বললেন প্রসেনজিৎ। সকাল ১০.৩০। ঠাকুরপুকুরের শ্রী নারায়ণী স্টুডিওতে পৌঁছলেন। হাতে আই-প্যাড আর ম্যাগাজিন। শ্যুটে এগুলোর কী দরকার? “আজকাল আই-প্যাডেই স্ক্রিপ্ট পড়ি। নিজের পড়াশুনাও থাকে। শ্যুটিং-য়ের মধ্যে সময় কাটাবার জন্য ম্যাগাজিনগুলো কাজে আসে।” এর মধ্যেই পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বললেন, “বুম্বাদা কখনও লেট হন না। ওঁর স্টুডিওয় ঢোকা দেখে ঘড়ি মেলানো যায়।”

রিহার্সাল ব্যাকরুম
প্রত্যেক দিন শ্যুট শুরু হওয়ার আগে পরিচালকের সঙ্গে এই মিটিংটা করবেনই প্রসেনজিৎ। মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডা: আগের দিনের এপিসোড নিয়ে কাটাছেঁড়া, সেদিনের শ্যুটে কী কী নতুন মোচড় আনা যায়। “পরিচালকের সঙ্গে এই মিটিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওর সাজেশনগুলো, আমার ইনপুট্স, তা ছাড়া স্টুডিওর দর্শকদের সঙ্গে কী ভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করার নতুন পন্থা ভাবতে হয় আমাদের,” বললেন বুম্বাদা। “প্রডাকশন কন্ট্রোল রুম-এ (পিসিআর) বসার মধ্যে একটা অদ্ভুত মজা আছে,” বলছিলেন প্রসেনজিৎ। এদিকে বুম্বাদার কানে হেডফোন দেখে শুভঙ্করের তড়িঘড়ি ঘোষণা, “হ্যালো, বুম্বাদার কানে হেডফোন কিন্তু!” হঠাৎ এটা বলার মানে? “নিজেদের মধ্যে যে ভাষায় কথা বলি, বুম্বাদা শুনলে লজ্জায় মাথা কাটা যাবে,” উত্তর শুভঙ্করের। শুনে বুম্বাদার উত্তর, “ও সব ভাবিস না, আমার শোনা অভ্যেস আছে।”

৩০ জোড়া জুতো, ৫০ জোড়া জামা-প্যান্ট
এ বার শুরু হল কস্টিউম আর জুতো বাছাইয়ের পালা। অন্তত ৫০ জোড়া জামাকাপড় আর
৩০ জোড়া জুতোর মধ্যে থেকে প্রসেনজিৎ পছন্দ করে নিলেন তাঁর সেদিনের কস্টিউম।
এতগুলোর মধ্যে থেকে বাছাই করতে অসুবিধে হয় না? “ভাই, ৩০ বছর করছি এই কাজটা।
তাই টাইম লাগে না, হাসতে হাসতে বলছিলেন নায়ক। তারপর সারাক্ষণের সঙ্গী সুভাষের
দিকে ফিরে যোগ করলেন, “চল্ সুভাষ! এ বার শুরু কর...”

সারাদিনের খাবার
“সারাদিনে এটাই আমার একমাত্র খাবার ডাইজেস্টিভ বিস্কুট, ড্রাই ফ্রুট আর চা,” বলছিলেন প্রসেনজিৎ। “সেদিন অক্ষয় কুমারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ও-ও বলল ভ্যানে ও সব সময় ড্রাই ফ্রুটস রাখে। খিদে পেলেই অল্প, অল্প খায়।”

বাংলার বড়দা’
“এটা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। টেলিভিশন মিডিয়ামটা প্রতিদিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। জি-টিভির সুজয় কুট্টির টিম যখন আমার কাছে ‘বাংলার সেরা পরিবার’-এর আইডিয়া নিয়ে আসে, ওরা বলেছিল পশ্চিমবাংলায় আমার ‘বড় দাদা’ ইমেজটাকে ব্যবহার করতে চায়। ওদের কনসেপ্টটা আমার দারুণ লেগেছিল। আর এ রকম শো-এর আসল মজার জায়গাটা হল সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসা যায়,” বলছেন বুম্বাদা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.