টুকরো খবর
সরাসরি লাইসেন্স নিতে বাধা দালালদের, নালিশ
বছর খানেক পর অটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া শুরু হলেও প্রথম দিনই দালালদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠল আসানসোল মোটর ভেহিক্যালস দফতরে। বুধবার আসানসোলের দক্ষিণ থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করলেন আসানসোল মহকুমা মোটর ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়নের সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন অটোর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ ছিল। এআরটিও-র তরফ থেকে জানানোও হয়েছিল এ বার দালাল ছাড়াই সরাসরি চালকদের লাইসেন্স দেওয়া হবে। অথচ প্রথম দিনেই চালকেরা লাইসেন্সের ফর্ম নেওয়ার জন্য ভেহিক্যালস দফতরে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় দালালরা। দালালদের অবশ্য দাবি, তাঁদের মাধ্যমেই লাইসেন্সের আবেদন করতে হবে। এতে চালকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাজুবাবু ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকেও নিগ্রহের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। এর পরে অটো চালকদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দালালদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং অভিযোগও দায়ের করা হয়। এআরটিওর কাছেও একটি প্রতিলিপি দেন তাঁরা। রাজুবাবু জানান, বাপি গুহ, শোভন দত্ত, গৌতম-সহ তাঁদের সঙ্গীরা বাধা দিয়েছেন। তবে বাপি গুহ ও তাঁর সঙ্গীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বাপিবাবু বলেন, “সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।” এআরটিও জানান, সরকারের নতুন সার্কুলার অনুযায়ী অটো রিক্সার বাণিজ্যিক ব্যবহার হতে হবে। এ দিন আগে থেকে বাণিজ্যিক লাইসেন্স আছে এমন ৪৫ জনকে ফর্ম দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বাণিজ্যিক লাইসেন্স নেই তাঁদের বাণিজ্যিকিকরণের জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকেই সরাসরি ফর্ম দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও গন্ডগোল হয়েছে কিনা তা জানা নেই।

সিপিএম কর্মীদের ‘মার’
সিটুর বেলবাঁধ কোলিয়ারির সাংগঠনিক সম্পাদক সুবোধ বাউরি-সহ তিন সিপিএম কর্মী বুধবার তৃণমূল কর্মীদের হাতে মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে জামুড়িয়ায়। মঙ্গলবার বেলবাঁধ এলাকার একটি খোলামুখ খনি ও সংলগ্ন একটি অবৈধ খনিতে আগুন লাগার ঘটনার জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ। সুবোধবাবুর দাবি, বুধবার সকাল ১০ নাগাদ তিনি বাইকে চেপে কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। বেলবাঁধ খোলামুখ খনির সামনের রাস্তায় তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী তাঁকে আটকায়। মারধরও করে। তাঁকে বাঁচাতে এসে প্রহৃত হন সিপিএম কর্মী নরেশ মাহাতো ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ও। মারের চোটে সুবোধবাবুর পকেট থেকে কয়েক হাজার টাকাও পড়ে যায়। তাঁর গলার সোনার হারও হামলাকারীরা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। সুবোধবাবু বলেন, “আগুন লাগার দায় আমাদের উপর চাপিয়ে প্রথমে অশ্রাব্য গালিগালাজ ও পরে মারধরও করা হয়।” তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাপস চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, ‘‘এতকাল অবৈধ খননের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে সিপিএম। তার জেরেই যে অগ্নিকান্ড সিপিএমের বক্তব্যে তা পরিষ্কার। তৃণমূল কর্মী নয় বুধবার সিটু ও সিপিএম নেতারা অতীতের অপকর্মের দায়েই জনরোষের স্বীকার হয়েছেন।’’

অঙ্গনওয়াড়ির কাজে ‘বাধা’
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে কিছু অবাঞ্ছিত লোক নানাভাবে কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে রানিগঞ্জের তিরাটিতে। সমাধানের দাবিতে তিরাট পঞ্চায়েতের ২৯টি কেন্দ্রের ৪০ জন কর্মী লিখিত আবেদন জানালেন রানিগঞ্জ সিডিপিও-র কাছে। তাঁদের অভিযোগ, কখনও বিধায়কের প্রতিনিধি, কখনও সিডিপিও-র প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে কিছু অবাঞ্ছিত লোক তাঁদের কেন্দ্রে ঢুকে নানা রকম হিসেব চেয়ে হয়রান করছে। এমনকী তাঁদের কথা না শুনলে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সিডিপিও-র কাছে প্রকৃত তথ্য জানতে চান তাঁরা। সিডিপিও অপ্রতিমবাবু জানান, তিনি কখনও এমন কাউকে প্রতিনিধি করে পাঠান নি। আর বিধায়ক যদি এমন কাউকে পাঠান সে খবরও তিনি পেতেন। তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের এই অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের উপেক্ষা করার পরামর্শ দেন।

অঙ্গনওয়াড়ি নিয়ে ক্ষোভ
বিভিন্ন দাবিতে বুধবার জামুড়িয়া সিডিপিও দফতরে বিক্ষোভ দেখাল জামুড়িয়া ১ ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। সিডিপিও-র হাতে একটি দাবিপত্রও তুলে দেনা তাঁরা। কমিটির সভাপতি অপর্ণা সাহুর অভিযোগ, কাজ না করে বেশ কয়েক জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দীর্ঘদিন ধরে বেতন পেয়ে আসছেন। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ ভাগ করার সময় রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে সিপিএম বিরোধীদের। তাঁদের দাবি, যে কোনও কর্মীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া করে বদলির সুযোগ রাখতে হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার ব্যবস্থাও করতে হবে। সিডিপিও জানান, দাবি খতিয়ে দেখা হবে।

শ্রমিকদের বিক্ষোভ
রামনগর কোলিয়ারির তিন নম্বর খনি চক্রান্ত করে বন্ধ করে দিতে চাইছে ইসিএল। এই অভিযোগে পিসিসি সিপিআই(এম-এল)-র নেতৃত্বে দু’ঘন্টা খনির উৎপাদন বন্ধ রেখে ম্যানেজার-সহ অধিকর্তদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকেরা। বিক্ষোভকারী দলের নেতা সাহেবরাজ গোপের অভিযোগ, এই খনিতে মজুত কয়লা ২০ বছরেরও বেশি চলবে। অথচ চক্রান্ত করে কর্তৃপক্ষ খনিটি বন্ধ করতে চাইছে। জবাবে খনির ম্যানেজার চন্দ্রনাথ দাস জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

রাস্তা সারানোর দাবি
রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে বুধবার আসানসোলের পূর্ত দফতরের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিল বারাবনি ব্লক যুব তৃণমূল। সংগঠনের নেতা পাপ্পু উপাধ্যায়ের অভিযোগ, সেনর্যালে মোড় থেকে লালগঞ্জ পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ কিমি রাস্তায় একাধিক গর্ত হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, এর আগেও এই দাবিতে একাধিকবার আন্দোলন করেছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

জলপ্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ
—নিজস্ব চিত্র।
নানা দাবিতে বুধবার কুলটি পুরসভায় বিক্ষোভ দেখাল ডিওয়াইএফ। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরী ও আসানসোলের সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। বংশবাবুর দাবি, তিনি এডিডিএ চেয়ারম্যান থাকাকালীন কেন্দ্রীয় সরকার কুলটির জন্য যে ১৩৩ কোটি টাকার জল প্রকল্প অনুমোদন করে, তা বাস্তবায়িত করতে পারেনি পুরসভা। এ ছাড়াও, কুলটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। নিকাশি বেহাল। পুরসভা দায়িত্ব পালন না করাতেই এই অবস্থা। পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জানান, বছরখানেকের মধ্যেই জলপ্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

হিরাপুরে ফুটবল
ডায়মন্ড ক্লাব আয়োজিত লিগ কাম নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় বুধবারের প্রথম খেলায় বিজয়ী হল হামিদ নগর। রহমতনগর ডায়মন্ড ক্লাবের মাঠে তারা শহীদ সাকে ২-০ গোলে হারায়। এই মাঠের দ্বিতীয় খেলাটি ছিল ফানি বয়েজ ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যে। তবে গোলশূন্য অবস্থায় অমীমাংসিত ভাবে খেলাটি শেষ হয়। তৃতীয় খেলায় ১-০ গোলে জুনিয়র স্পোটর্সকে হারিয়েছে আরিয়ান।

হামলার নালিশ
নির্মীয়মাণ বিমানগরীর কাজে বিক্ষোভ দেখাতে যাওয়া কৃষক খেতমজুর বাঁচাও কমিটির উপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ উঠল বুধবার। অন্ডালের খান্দরা ও আমলোকার মাঝামাঝি বেঙ্গল এরোট্রোপলিস কার্যালয়ের সামনে ঘটা ওই ঘটনায় খেতমজুরদের তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কোথায় কী

দুর্গাপুর
রথযাত্রা উপলক্ষে মেলা ও পালাকীর্তন। রথের মেলা ময়দান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা।
উদ্যোগ: রথযাত্রা উৎসব ও সমাজ কল্যাণ সমিতি।

রানিগঞ্জ
রথের মেলা। সিহারশোল। সকাল ৮টা।

হিরাপুর
ফুটবল প্রতিযোগিতা। ক্লাবের মাঠ। উদ্যোগ: ডায়মন্ড ক্লাব।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.