কলকাতা-দিঘা রেলযাত্রার সময় আরও কমে গেল। কারণ হাওড়া থেকে দিঘা পর্যন্ত এ বার ট্রেন চলবে বিদ্যুতেই। অর্থাৎ বিদ্যুদয়নের সুবাদে রেলপথে দিঘা আরও কাছে চলে এল কলকাতার। হাওড়া থেকে দিঘা পুরো পথে বিদ্যুতের ব্যবস্থা হওয়ায় দূর পাল্লার ট্রেনের সঙ্গে সঙ্গে এ বার চালানো হবে ইএমইউ লোকালও।
এত দিন হাওড়া থেকে শুধু তমলুক পর্যন্ত রেললাইনে বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছিল। তাই হাওড়া থেকে মেচেদা হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শহর তমলুক পর্যন্তই ট্রেন চলত বিদ্যুতে। রবিবার বিকেলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক অনুষ্ঠানে দিঘা-তমলুক লাইনের বিদ্যুদয়নের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। সেই সঙ্গে নতুন এক গুচ্ছ ট্রেনেরও সূচনা করেন তিনি। দিঘা থেকে তমলুক প্রায় ৯০ কিলোমিটার রেললাইনের বিদ্যুদয়ন খাতে খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
এ দিন দূরসঞ্চারের মাধ্যমে হাওড়ায় পতাকা নাড়েন রেলমন্ত্রী। দিঘা স্টেশন থেকে নতুন ইএমইউ ট্রেনের যাত্রার সূচনা হয় সেই পতাকা দেখেই। একই সঙ্গে দিঘা স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়েন স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি। রেল সূত্রের খবর, আজ, সোমবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা ৫ মিনিটে মেচেদা থেকে ছেড়ে লোকাল ট্রেনটি দিঘায় পৌঁছবে ১০টা ৫৩ মিনিটে। আবার দিঘা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি পৌঁছবে মেচেদায়। |
দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নতুন লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় নিত্যযাত্রীরা খুশি। তবে প্রতিদিন প্রথম ট্রেনটি ছাড়ার স্থান এবং সময় নিয়ে তাঁরা কিছুটা ক্ষুব্ধও। তাঁদের কথায়, প্রতিদিন সকালে লোকাল ট্রেনটি মেচেদার বদলে দিঘা থেকে ছাড়লে যাত্রীদের অনেক বেশি সুরাহা হত। সে-ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি কলকাতায় পৌঁছতে সুবিধা হত তাঁদের। রেল সূত্রের বক্তব্য, রোজ সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে দিঘা থেকে একটি কলকাতামুখী ডিএমইউ (ডিজেল) লোকাল ট্রেন চালানো হয়। সেটি পৌনে ১০টার মধ্যেই সাঁতরাগাছিতে পৌঁছে যায়। সেই ট্রেনের কথা মাথায় রেখেই নতুন ইএমইউ লোকালটি মেচেদা থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী শালিমার-চেন্নাই সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-আমতা ইএমইউ লোকাল ট্রেনরও যাত্রার সূচনা করেন। মেদিনীপুর থেকে গোকুলপুর পর্যন্ত ডবল লাইনও খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনটি নতুন ট্রেনের কথা ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী। সেগুলির কথা রেল বাজেটেই জানানো হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই ওই সব ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়ে যাবে বলে রেলমন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দেন। |