সংস্কৃতি যেখানে যেমন
শিল্পী
অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন বাংলা ব্যান্ডের যুগ। তবু পুরনো দিনের বহু গান আজও বয়স্ক তো বটেই নতুন প্রজন্মকেও নাড়া দেয়। ওই সব গানের মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন শচীনদেব বর্মন। তাঁর গাওয়া ‘টাক ডুম টাক ডুম বাজে’, ‘তুমি এসেছিলে পরশু-কাল তুমি আসনি,’ ‘তুমি আর নেই সেই তুমি’, ইত্যাদি অনেক গানেই বাঙালি আজও সমান তালে মাতে। সেই শচীনকর্তার গান গেয়েই দর্শক-শ্রোতার মন জয় করেছেন সিউড়ির অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় বায়ুসেনার এই প্রাক্তন কর্মী অরুণবাবু কোনও দিনই কারও কাছে গান শেখেননি। গ্রামোফোন ও টেপ রেকর্ডারই তাঁর গুরু। অরুণবাবুর কথায়, “১৯ বছর বয়সে চাকরি পেয়ে বেঙ্গালুরুতে প্রশিক্ষণ নিতে যাই। আমি যে শচীনদেব বর্মণের গান করি, সেখানেই তা প্রথম জানাজানি হয়। আমার আনমনে গাওয়া শচীনদেবের ভজন ‘পিলে পিলে হরি নামকা পিয়ালা’ শুনে এক আধিকারিক মুগ্ধ হন। তারপর থেকে ক্রমে শচীনকর্তার গানই হয়ে ওঠে আমার শিল্পী-সত্তার একমাত্র পরিচয়।” প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়েই অরুণবাবু বেঙ্গালুরুর বাঙালি মহল্লায় বেশ কয়েকটি গানের অনুষ্ঠানে শচীনদেবের বাংলা গান গেয়ে প্রশংসিত হন। পরে বদলির চাকরিতে যোধপুর, আগ্রা, তামিলনাড়ু-সহ বহু জায়গায় গান গেয়ে মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন। অবসরের পরে দেশের বাড়িতে ফিরেও থেমে যাননি। আরও বেশি করে মেতে ওঠেন গানের অনুষ্ঠানে। দু’বছর আগে বুকে বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তবু ডাক পেলে এখনও অনুষ্ঠান করতে ছোটেন ৮২ বছরের অরুণবাবু।

মহম্মদ ওয়ারেস আলি
তাঁর বাড়ি লাভপুর থানার কাজি পাড়া গ্রামে। তবে বর্তমানে তিনি নানুর থানায় হোমগার্ডের ডেপুটি গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে কর্মরত। সেই মহম্মদ ওয়ারেস আলি-র পুলিশকর্মীর বাইরেও একটি অন্য পরিচয় আছে। রাজ্যের বহু লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা, গল্প প্রভৃতি প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যের সেবায় এখনও তিনি সমান আগ্রহে মগ্ন। ইতিমধ্যে ওয়ারেস আলি-র লেখা সাক্ষরতা বিষয়ক নাটক ‘নিরক্ষতার দায়ে’ বহু জায়গায় চল্লিশবার মঞ্চস্থ হয়েছে। এ ছাড়াও তাঁর লেখা বহু পত্র কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে ‘প্রাত্যহিকী’তে সম্প্রচারিত হয়েছে। কর্মব্যস্ততার মাঝেই লেখেন ভাদু, বোলান ও বাউল গান। ওয়ারেস আলি-র এখনও পর্যন্ত ৫টি নানা বিষয়ের গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে।

সংক্ষেপে
১৫৭তম হুল উৎসব গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত হয়েছে বোলপুরের ধান্যসরা গ্রামে। গত ২৫ বছর ধরে ওই গ্রামে স্থানীয় দুর্গাপুর সিধো-কানহু লোক সংস্কৃতির উদ্যোগে ওই উৎসব হয়ে আসছে। উৎসবের মূল অনুষ্ঠান--নানা আদিবাসী সংস্কৃতি ও প্রতিযোগিতা মূল ক্রীড়া।

তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
• একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার ২৮ জন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা জানাল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লক শিক্ষা সেল। শুক্রবার ভাস্করানন্দ মঞ্চে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনেরা।

• পুরুলিয়া নব কিশলয় সঙ্ঘের বার্ষিক অনুষ্ঠান হল শনিবার। ‘শিক্ষার আঙিনায়’, ‘স্বাধীন ভারত’ ও ‘ঘরভাড়া’- এই তিনটি নাটক স্থানীয় শিল্পীরা উপস্থাপন করেন। সঙ্ঘের সম্পাদক সুভাষ মুখোপাধ্যায় জানান, দুঃস্থ ও মেধাবী পড়ুয়াদের পাঠ্য বই তুলে দেওয়া হয়।

সিউড়ি রেল স্টেশনে কর্মী ও জিআরপির উদ্যোগে সরকারি হোমের
আবাসিকদের উপহার তুলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.