|
|
|
|
বস্তি-উচ্ছেদ ঘিরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হলদিয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
যে ৪৮ জন বস্তিবাসীর মামলার প্রেক্ষিতে শিল্পশহর হলদিয়ায় বস্তি-ঝুপড়ি উচ্ছেদের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাদেরই কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে আইওসি একনম্বর গেটের কাছে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ বাধে। জখম হন দু’পক্ষের ৬ জন। তার মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম। আর সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রণব দাস, হলদিয়া শহর জোনাল সম্পাদক সুদর্শন মান্না-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের তৃণমূল। তবে কোনও তরফেই কেউ গ্রেফতার হয়নি। হলদিয়ার এসডিপিও অমিতাভ মাইতি বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগই পেয়েছি। আমরা দুটি অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি।”
শিল্পশহর হলদিয়ায় বন্দর ও সরকারি খাসজমি দখল করে গড়ে ওঠা বস্তি-ঝুপড়ি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সিপিএম নিয়ন্ত্রিত ‘বস্তি সংগ্রাম কমিটি’-র তরফে ৪৮ জন বস্তিবাসী উচ্ছেদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ স্থগিত রাখতে বলে হাইকোর্ট। তারপরই শনিবার দু’দলে সংঘর্ষ বাধে। আইওসি একনম্বর গেটের কাছে মামলাকারী কয়েকজনের বাড়িতে তৃণমূলের লোকজন চড়াও হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হন মামলাকারী বস্তিবাসী গোপাল চাকড়া। তাঁর পায়ে ও পেটে আঘাত রয়েছে। ভোলানাথ মাইতি, রাজেশ ভকত-সহ আরও তিন জন সিপিএম কর্মী আহত হন। হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূলকর্মী শেখ সইদুলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএমের লোকজন কারখানা গেট দখল করতে গিয়ে অর্ন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল। তারই জেরে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছে। রবিবার দু’পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। ‘বস্তি সংগ্রাম কমিটি’-র সভাপতি তথা সিপিএমের জোনাল সম্পাদক সুদর্শন মান্না বলেন, “পুরভোটের হার মেনে নিতে না পেরে যা খুশি তাই করছে ওরা।” আর জেলা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের বক্তব্য, “এর সঙ্গে বস্তি উচ্ছেদের কোনও যোগ নেই। নিজেরাই মারামারি করেছে। আর সেটা ঢাকতে আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে।” পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গোলমাল এড়াতে এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। |
|
|
|
|
|