উত্তর কলকাতা |
ভোগান্তি |
অন্ধকারে মেডিক্যাল |
দীক্ষা ভুঁইয়া |
সন্ধেবেলা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দিকে ছ’নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলেন মুর্শিদাবাদের গোলাম মোস্তাফা ও তাঁর মেয়ে মৌসম। কোন দিকে ইডেন-বিল্ডিং বুঝতে পারলেন না। তার ওপর আলো বেশ কম। কোনও রকমে ঘুরে ঘুরে ইডেন বিল্ডিংয়ে পৌঁছলেন।
মাধবী কাহার। বাড়ি বীরভূমের সিউড়িতে। ক্যানসার-আক্রান্ত মাধবীদেবীর গত দু’মাস ধরে কেমো-থেরাপি চলছে মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু কলকাতায় মাধবীর কোনও আত্মীয়-পরিজন নেই। তাই তাঁদের ঠাঁই হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের ইডেন বিল্ডিংয়ের উল্টো দিকের যাত্রীনিবাসে। কিন্তু বেড না পাওয়ায় মাটিতে শুতে হচ্ছে। তাঁর স্বামী পুরুষদের যাত্রীনিবাসে জায়গা না পাওয়ায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন ইডেন বিল্ডিংয়ের পাশে পেশেন্ট ড্রাইভওয়েতে। কিন্তু এই জায়গাটি অন্ধকার। প্রতি সপ্তাহের ছ’দিন তাঁকে রাতে এই অন্ধকার শেডের তলাতেই রাত কাটাতে হচ্ছে।
|
|
চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপর মেডিক্যাল কলেজে সন্ধ্যার পর থেকেই অধিকাংশ জায়গায় আলো প্রায় থাকে না বললেই চলে। যেটুকু আলো তাতে ইডেন বিল্ডিং আর জরুরি বিভাগের সামনেই। বাকি জায়গাগুলিতে বেশ কিছু আলো খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। যেমন দু’নম্বর গেটের মুখেই দু’টি আলোকস্তম্ভের একটি, এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের উপরের একটি এবং ইডেন বিল্ডিং আর নার্সিং টিচার ট্রেনিং বিভাগের উপরেএকটি। চক্ষু বিভাগের দিকে যাওয়ার রাস্তা পুরো অন্ধকার। অন্ধকার পাঁচ এবং ছ’নম্বর গেটের দিকের এলাকাও। গেটে এক দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি জানালেন, সন্ধে বা রাতের দিকে ওই জায়গায় আলো কম থাকে। ও দিকে না যাওয়াই ভালো। তিনি আরও জানান, অনেক জায়গায় আলো খারাপ হয়ে রয়েছে বেশ কিছু দিন হল। |
|
মেডিক্যাল কলেজের বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা এক ইঞ্জিনিয়র বললেন, “মাঝে মাঝে আলো খারাপ হয় ঠিকই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই তা ঠিক করে দেওয়া হয়। আসলে আলোগুলি অনেক উঁচুতে থাকায় নীচে আলো কম পৌঁছায়। তাতেই মনে হয় আলো নেই।” যদিও সপ্তাহখানেক আগে এলাকার ভিতর গ্রিন ভবনের অর্থাৎ ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনের এলাকা পুরো অন্ধকারে ছিল বলে এক রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ উৎপল দত্ত কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|