অন্তঃসত্ত্বা বধূকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযুক্তদের মধ্যে শাশুড়ি ও বৌদি পলাতক। স্বামী পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আপাতত তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” বুধবার রাতে ভাসুর অলোকবাবুকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করালে তাঁর জেল হাজত হয়।
এক বছর আগে পাড়া থানার চৌতলা গ্রামের বাসিন্দা কিরণময়ী দেবীর (২৭) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পেশায় হাতুড়ে রঘুনাথপুর থানার দুরমুট গ্রামের বাসিন্দা শ্যামাপদ মাজির। বুধবার সকালে স্ত্রীকে পুরুলিয়া শহরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে মোটরবাইক নিয়ে বের হন শ্যামাপদবাবু। রাতে পুলিশ খবর পায়, বুন্দলা পুলের কাছে পড়ে রয়েছে একটি বাইক ও রাস্তার পাশে এক মহিলার দেহ। দেহটি ওই বধূর বলে জানা গেলেও ঘটনাস্থলে শ্যামাপদবাবুর দেখা পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ জানতে পারে তিনি রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে রেফার করা হয়েছে পুরুলিয়ায়। ওই বধূর কাকা বিকাশ মণ্ডলের অভিযোগ, “জামাইয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা ভাইঝি আমাদের জানিয়েছিল। প্রতিবাদ করত বলেই ওরা সকলে মিলে ভাইঝিকে খুন করেছে।” তাঁর দাবি, “বুধবার ভাইঝিকে নিয়ে জামাই আমাদের বাড়িতে এসেছিল। ভাসুর ফোনে জানান, দুর্ঘটনায় মৃত্য হয়েছে কিরণময়ীর। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওর গলার নলি কাটা।”
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখছি।” অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামাপদর দাবি, “স্ত্রীকে নিয়ে ফেরার সময়ে কয়েকজন আমাদের পথ আটকে আমার মাথায় আঘাত করে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।” তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্ন নেই। পেটে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন আছে। |