দেশের শীর্ষ আদালতের জোড়া রায়ে ফের রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখে পড়তে চলেছে মিশর।
মিশরের সুপ্রিম কোর্ট আজ জানিয়ে দিয়েছে, পার্লামেন্টে মুবারক জমানায় নিষিদ্ধ, বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সদস্যই অবৈধ ভাবে নির্বাচিত। ফলে পার্লামেন্ট অবিলম্বে ভেঙে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে আরও একটি রায়ে আদালত বলেছে, হোসনি মুবারক জমানার শেষ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। সর্বোচ্চ আদালতের এই জোড়া রায়ে দেশে নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আড়ালে থেকে মদত দিয়ে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বর্তমান শাসক দল ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারে বলেও জল্পনা।
সম্প্রতি নিম্ন আদালত বলেছিল, যে আইনে গত বছর দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেই আইনটি অবৈধ। কারণ, ওই আইনে পার্লামেন্টের এক তৃতীয়াংশ নির্দল প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হলেও এ কথা বলা হয়নি, যে সেই আসনে রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থী দিতে পারবে না। আইনের ফাঁকের সুযোগ নিয়ে ওই দলগুলি সংরক্ষিত আসনেও প্রার্থী দিয়েছে। যার বেশিরভাগ আসনেই জিতেছে মুসলিম ব্রাদারহুড। ফলে আদালতের মতে, পার্লামেন্টে বর্তমান শাসক দলের এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবৈধ ভাবে জিতেছেন।
আজ নিম্ন আদালতের সেই রায়ই বহাল রেখে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতের দ্বিতীয় রায়েও অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিম ব্রাদারহুড মহম্মদ মোরসিকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিরোধীরা মুবারক জমানার শেষ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিককে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু গত মাসেই মিশর পার্লামেন্টে একটি আইন পাশ হয়। এর পরেই ঘোষণা হয়, প্রাক্তন কোনও ‘শাসক’ ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এই আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে শফিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত। |