সকাল সাড়ে ন’টাতেও হাসপাতালের আউটডোরে গরহাজির অধিকাংশ চিকিৎসক। এমনকী, হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষও অনুপস্থিত। শনিবার আচমকা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
পরিদর্শনে এসে এমনই অভিজ্ঞতা হল মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (এমসিআই) দুই পরিদর্শকের।
কিছু দিন আগেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ বছরের জন্য ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছে এমসিআই। তার পরেই দিল্লি গিয়ে দরবার করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। এর পর এ দিন সকালে আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন দুই এমসিআই কর্তা। হাসপাতাল কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, দিল্লিতে দরবার করলেও হাসপাতালে পরিকাঠামো যে যথাযোগ্য নয়, সেটাই বেরিয়ে এল এমসিআই প্রতিনিধিদের আচমকা পরিদর্শনে। এমসিআই সূত্রের খবর, হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসকদের না দেখে পরিদর্শকরা অধ্যক্ষ দেবাশিস ভট্টাচার্যকে ফোন করে ডেকে পাঠান। আউটডোরে চিকিৎসকরা কেন আসেননি, অধ্যক্ষের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। গত চার দিন ধরে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ। জরুরি অস্ত্রোপচারও অন্য হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। এর কারণও অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান এমসিআইয়ের পরিদর্শকরা। চিকিৎসকদের তালিকা পরীক্ষা করার সময়ও বেশ কিছু অসঙ্গতি নজরে এসেছে পরিদর্শকদের। অধ্যক্ষ দেবাশিস ভট্টাচার্য পরে বলেন, “পরিদর্শকরা আমাদের সীমাবদ্ধতার কথা জানতেন। ওঁদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।” রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যতটা বোঝানোর বুঝিয়েছি। বাকিটা উপরওয়ালাদের হাতে।” |