টুকরো খবর
গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন ৩ যুবক
ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ শুভ্রজ্যোতি ঘোষ অসীম কুমার দাস
স্নান করতে নেমে গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন তিন যুবক। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে খড়দহ থানা এলাকার সোদপুরের বারোমন্দির ঘাটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তাঁদের নাম ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ (২৭), শুভ্রজ্যোতি ঘোষ (২৪) ও অসীমকুমার দাস (৩০)। শুভ্রজ্যোতি, ধ্রুবজ্যোতি খুড়তুতো-জ্যাঠতুতো ভাই। তাঁদের বাড়িতেই থাকতেন অসীম।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁরা গঙ্গায় স্নান করতে যান। সাঁতার জানতেন না কেউই। সঙ্গে মগ নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন গঙ্গায় জোয়ার আসছিল। জলে নামেন তিনজন। ঘাটে স্নান করতে আসা কয়েকজন তাঁদের জলে বেশি দূর এগোতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা শোনেননি। দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ স্রোতের টানে ভেসে যেতে থাকেন শুভ্র ও ধ্রুব। বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যান অসীমবাবুও। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়লেও কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।

হাওড়ায় পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু ৪ শ্রমিকের
হাসপাতালে পড়ে রয়েছে মৃতদের দেহ। নিজস্ব চিত্র
ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ‘নিরাপদ’ আশ্রয় খুঁজেছিলেন ছয় শ্রমিক। এ দিক-ও দিক করতে করতে একটি গুদাম লাগোয়া গাছের নীচে খুঁজেও পেয়েছিলেন সেই আশ্রয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আচমকাই গুদামের পাঁচিল ভেঙে পড়ল তাঁদের উপর। ঘটনাস্থলেই মারা গেলেন চার শ্রমিক। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ফোরশোর রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতদের দু’জনের নাম প্রমোদ রায় (২৯) ও সুরেশ মল্লিক (৩২)। প্রমোদ ব্যান্ডেল কুলিপাড়ার বাসিন্দা, সুরেশের বাড়ি চুঁচুড়ায়। মৃত অন্য দু’জনের পরিচয় এ দিন রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। গুরুতর আহত অবস্থায় মানিক দেবনাথ ও রবি রায় নামে অন্য দু’জনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা ছ’জনই বেঙ্গল জুট মিলের শ্রমিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ ছুটির পর জুট মিল থেকে বেরোন ওই ছয় শ্রমিক। তত ক্ষণে দু’-এক ফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাঁরা ফোরশোর রোড ধরে কিছুটা যেতেই ঝড় শুরু হয়। বাড়ে বৃষ্টির তেজও। ঝড়-জল থেকে বাঁচতেই বিচালি ঘাট এলাকায় পৌঁছে একটি গুদাম লাগোয়া গাছের নীচে ঠাঁই নেন প্রমোদ-সুরেশরা। পাঁচিলটি ১০ ফুটেরও বেশি উঁচু বলে বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, কিছু ক্ষণ পরে হঠাৎই ওই পাঁচিলটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। চিৎকারের শব্দ শুনে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন বাসিন্দারা। দেখেন, প্রায় ২০ ফুট জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা পাঁচিল। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশেও। বৃষ্টির জেরে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়।

সিপিএম নেতা প্রহৃত গোঘাটে
সিপিএমের এক নেতাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। পিন্টু কোলে নামে গোঘাটের বেতরা গ্রামের ওই সিপিএম নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি। পুলিশ নিজে থেকে তদন্ত শুরু করেছে। পিন্টুবাবু দাবি করেছেন, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। একটু সুস্থ হয়ে উঠলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি। দুষ্কৃতীদের চিনতে না পারলেও পিন্টুবাবুর নালিশ, দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা ছিল। সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “গোঘাটের গ্রামে তৃণমূলের লোকজন মারধর করছে। নিন্দার ভাষা নেই।” গোঘাটের তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এ সব কাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। হামলার অভিযোগ মিথ্যা।”

রেললাইনে সমস্যা
নবনির্মিত আরামবাগ-তারকেশ্বর রেললাইনের আমতলা ক্রসিংয়ের কাছে ‘চেক রেল’-এ ফাটল দেখা দিয়েছে। শনিবার স্থানীয় এক যুবক তা দেখে রেলপুলিশকে খবর দেন। রেল সূত্রের খবর, ‘চেক রেল’ দিয়ে ট্রেন যায় না। কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ে আড়াআড়ি ভারি যান চলাচল সত্ত্বেও মূল রেলপথটি সুরক্ষিত থাকে। পূর্ব রেলের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার পল্লব ফৌজদার বলেন, “চেক রেলে ফাটল থাকলেও তাতে ট্রেন চলাচলে বড় কোনও ঝুঁকি নেই। তবে তা দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হবে।”

গঙ্গায় ছাত্রের দেহ
গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিলেন হুগলির সপ্তগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অরূপ পাল। শনিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হল। রিষড়ার হেস্টিংস জুটমিল-লাগোয়া ঘাট থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ দেহটি উদ্ধার হয়। জলপাইগুড়ির বছর ছাব্বিশের ওই যুবক শেওড়াফুলির ছাতুগঞ্জে এক সহপাঠীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, অরূপ সাঁতার জানতেন না। যদিও শুক্রবার দুপুরে দুই বন্ধু ছাতুগঞ্জ ঘাটে স্নান করতে নামেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.