|
|
|
|
জামিন তৃণমূল নেতার |
সরকারি চিকিৎসককে ‘হুমকি’র মামলায় ‘লঘু’ ধারার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সরকারি চিকিৎসকের বাড়িতে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন যুব-তৃণমূলের তমলুক শহর সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া। শনিবার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে সিজেএম আদালতে হাজির করায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য জামিন পেয়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় শাসকদলের এই নেতার বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত ‘লঘু’ এবং ‘জামিনযোগ্য’ ধারায় মামলা রুজুর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। জামিনের পরে সংবাদমাধ্যমকে এড়াতে চঞ্চলবাবুকে আদালতের পিছন দিক দিয়ে সন্তর্পণে বেরও করে দেয় পুলিশ।
যে চিকিৎসকের বাড়িতে ‘হামলা’ হয়েছিল, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের সেই ময়না-তদন্ত বিশেষজ্ঞ প্রদীপ দাসের অভিযোগ, তৃণমূলের ওই যুব নেতার ‘কথামতো’ তিনি একটি মামলায় ময়না-তদন্তের রিপোর্ট ‘পরিবর্তন’ করতে রাজি না হওয়ায় হামলা হয়েছে। প্রদীপবাবুর বক্তব্য, “আমাকে যে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে সে-কথা জানিয়েছিলাম। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট বদলাতে চাপ দেওয়া মানে সরকারি কাজে বাধাদান। পুলিশ কিন্তু মামলা সাজিয়েছে এই বিষয়গুলি বাদ দিয়ে। ফলে লোকদেখানো গ্রেফতারের পরেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন মূল অভিযুক্ত।” জেলা পুলিশের এক কর্তার অবশ্য দাবি, অভিযোগ-মাফিকই মামলার ধারা নির্দিষ্ট হয়েছে।
তমলুক শহরের পদুমবসান এলাকায় বাড়ি প্রদীপবাবুর। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ কয়েকটি গাড়িতে জনা তিরিশেক তৃণমূল সমর্থক বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায় ও প্রদীপবাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। রাতেই চঞ্চল খাঁড়া-সহ কয়েক জনের নামে অভিযোগ করেন প্রদীপবাবু। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ মে তমলুকের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকার একটি বাড়িতে এক নাবালিকা পরিচারিকার মৃত্যুর পরে তাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে গৃহকর্তার বিরুদ্ধে। প্রদীপবাবুর অভিযোগ, “ওই নাবালিকার দেহের ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাল্টাতেই ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল আমাকে। রাজি না হওয়ায় চঞ্চল খাঁড়ার নেতৃত্বে বাড়িতে হামলা চালানো হয়।”
হুমকির জেরেই এখনও হাসপাতালে যাচ্ছেন বলেও দাবি প্রদীপবাবুর। চঞ্চলবাবুর দাবি, “কোনও ময়না-তদন্তের রিপোর্ট বদলাতে বলার প্রশ্নই ওঠে না। ওই চিকিৎসককে হুমকি দেওয়া হয়নি, বাড়িতে হামলাও হয়নি। নিজের কাজে গাফিলতি ঢাকতে উনি মিথ্যে অভিযোগ করছেন।” |
|
|
|
|
|