চারপেয়ে, মাথার কাছটা এক গুচ্ছ সাদা চুল, একটা সাদা লোমশ লেজ, লোমহীন গোলাপি গায়ে চিতা বাঘের মতো ছিটছিট দাগ। কিছু বুঝলেন, জিনিসটা কী? মনে হয় না। জিংজিয়াঙের মানুষও বুঝতেই পারেননি জন্তুটা ঠিক কী। ফলে নিমেষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। |
তবে আতঙ্কের একটা অন্য কারণও আছে। জিংজিয়াঙের ওই অঞ্চলে বেশ কিছু গবেষণাগার আছে। আছে একটা মেডিক্যাল স্কুলও। সেখানে দিনরাত নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। তাই পথের মাঝে অমন একটা অদ্ভুত জন্তুকে দেখে স্থানীয় লোকজনের মনে প্রশ্ন জাগে, গবেষণায় মারাত্মক কিছু ভুলভাল হয়ে ও রকম একটা কিছু তৈরি হয়নি তো? এক বাসিন্দা বলেন, “ওটার গায়ের গোলাপি রঙটা একেবারে শুয়োরের মতো। তাই মনে হয়েছিল, বোধ হয় শুয়োরের ওপর জেনেটিক পরীক্ষা করে অমন কিছু তৈরি হয়েছে।” আর এক বাসিন্দা টেরি শুম্যাচার আবার ভেবেছিলেন ইঁদুরের মতো কিছু একটা হবে। অন্য ভয়ও পেয়েছিলেন অনেকে। হিংস্র নয়তো? কোনও ভাবে ল্যাব থেকে বেরিয়ে এসেছে। ফিল্মে যেমন হয় আর কী!
তবে শেষটা পুরোপুরি ফিল্মি হল না। ‘হিংস্র’ জন্তুটার হাত থেকে উদ্ধার করতে হিরোর আবির্ভাবও হয়নি। পুলিশই দেখেটেখে জানাল, ওটা আসলে একটা নিরীহ কুকুর তা-ও পোষ্য। ‘চাইনিজ ক্রেস্টেড হেয়ারলেস’ প্রজাতির। দামও বেশ ভাল।
তবে এর ‘গুণের’ কথা এই পর্যন্ত বললে কিন্তু একেবারেই অবিচার করা হবে। বেশ কয়েক বার সেরার শিরোপাও উঠেছে এর মাথায়। গত বছর ক্যালিফোর্নিয়ার সোনোমা মারিন মেলায় দুনিয়ার কুৎসিততম কুকুরের ‘সম্মান’ পেয়েছে ওই প্রজাতিরই সদস্য ‘ইয়োডা’। আর সেই ‘ভয়ানক’ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে তার ঝুলিতে ঢুকেছিল হাজার ডলার আর সেই সঙ্গে ইয়োডার থেকে ১৫ গুণ বড় একটা ট্রফি। |