৬ মাস আগে তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে মালদহ জেলা পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অথচ জেলা প্রশাসনের উদাসীনতায় তা চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, ওই ট্রেনিং সেন্টার চালু করতে রাজ্য সরকার এক কোটি টাকা পাঠিয়ে দিলেও তা জেলা পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। ট্রেনিং সেন্টারের জন্য পাঠানো অ্যাসিস্ট্যান্ট কোঅর্ডিনেটর, দু’জন আবাসিক সঞ্চালকও বসে বসে বেতন নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ৬ মাস ধরে তালা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকার ফলে চার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি জেলা পঞ্চায়েত ট্রেনিং সেন্টার চত্বর এখন বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছে ঢেকে গিয়েছে। ট্রেনিং সেন্টারের ঘরগুলি ঝুলে ভরে গিয়েছে। ওই ঘটনায় বিরক্ত জেলা পরিষদের সভাধিপতি উজ্জল চৌধুরী। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে আসতেই জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিককে দ্রুত ট্রেনিং সেন্টার চালু করতে বলেছি।” জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা অবশ্য দাবি করেছেন, “ট্রেনিং সেন্টারের বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেজন্য জেলা পঞ্চায়েত ট্রেনিং সেন্টার চালু করা যায়নি। ট্রেনিং সেন্টারের সব কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়।” জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক জয়দেব ঠাকুর বলেন, “জেলা ট্রেনিং সেন্টারের সমস্ত কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কেবলমাত্র বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে ট্রেনিং সেন্টার চালু করা যাচ্ছে না। জুলাই মাসের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হবে।” ওই ট্রেনিং সেন্টারের তৈরি করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার গোপাল চৌধুরী বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ট্রেনিং সেন্টারের সমস্ত কাজ শেষ করে দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসন আমাদের কাছ থেকে ট্রেনিং সেন্টার হ্যান্ডওভার নিচ্ছে না।” জেলা পঞ্চায়েত ট্রেনিং সেন্টারের প্রিন্সিপাল তথা জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক বিকাশ সাহা বলেন, “সরকারি ভাবে আমি ওই ট্রেনিং সেন্টারের প্রিন্সিপাল। কবে ওই ট্রেনিং সেন্টার চালু হবে সেই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।” জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের পঞ্চায়েতের কাজকর্ম কীভাবে করতে হবে তা হাতে কলমে শেখানোর জন্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব এমএনরায় ২০০৯ জেলা পঞ্চায়েত ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস করেছিলেন। কথা ছিল ১২ মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত ট্রেনিং সেন্টার চালু হয়ে যাবে। এই ট্রেনিং সেন্টারে একসঙ্গে ৬০ থেকে ৭০ জন পঞ্চায়েত সদস্যের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের থাকার জন্য তিনতলা আবাস বানানো হয়েছে। তার পাশ রয়েছে দ্বিতল ট্রেনিং সেন্টার। ৩৬ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আজও জেলা পঞ্চায়েত ট্রেনিং সেন্টার চালু না হওয়ায় জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
সাপ উদ্ধার। বিরল প্রজাতির একটি সাপকে উদ্ধাকরল করলেন বনকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে হেমতাবাদের রঞ্জিত কর্মকার নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে তিন ফুট লম্বা ওই সাপটিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। সাপটিকে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাসে রেখে চিকিৎসা শুরু করেছে বন দফতর। রায়গঞ্জের বিভাগীয় বনাধিকারিক অপূর্ব সেন জানান, সাপটি পাইথনের কোনও প্রজাতির বলে মনে হচ্ছে। সেটি সুস্থ হলে পক্ষিনিবাসে ছেড়ে দেওয়া হবে। |