টুকরো খবর
ছ’ লক্ষের মঞ্চের উদ্বোধন
বিধায়ক তহবিলের অর্থে শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলে তৈরি মঞ্চের উদ্বোধন হল। মঙ্গলবার মঞ্চের উদ্বোধন করেন বিধায়ক শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শচীন্দ্রমোহন সরকারের স্মৃতিতে মঞ্চের নামকরণ হয়েছে। অনুষ্ঠানের সময় ছাড়া মঞ্চের ওই জায়গা সাইকেল স্ট্যান্ড হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন ছাত্র শিক্ষকেরা। সাইকেল স্ট্যান্ড না থাকায় সমস্যা হত ছাত্র-শিক্ষকদের। তাই সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরিতে বিধায়কের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা সকলেই। বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই মঞ্চ তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে ওই কাজ করা হয়েছে। লোহার পরিকাঠামোর উপর টিনের শেড লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চটি। রুদ্রবাবু বলেন, “স্কুলে একটি সাইকেল স্ট্যান্ড বিশেষ জরুরি বলে স্কুল পরিচালন সমিতি থেকে জানানো হয়েছিল। ছাত্রদের নিয়ে আসা সাইকেল রোদ, জলে নষ্ট হলে তারা কষ্ট পান। তাই ঠিক করেছিলাম ওই কাজ করে দেব। ছাত্র শিক্ষকদের জন্য ওই কাজ করতে পেরে আমি খুশি। অন্য সময় অনুষ্ঠান করা যাবে।” প্রাক্তন ছাত্রদের অনেকেই এ দিন ওই মঞ্চ তথা সাইকেল স্ট্যান্ডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। মঞ্চ লাগোয়া বসার জায়গায় শেড দেওয়া হয়নি। রুদ্রবাবু অনুষ্ঠান মঞ্চেই ঘোষণা করেন শীঘ্রই সেখানেও ছাউনির ব্যবস্থা করবেন। রুদ্রবাবু জানান, সামনে বর্ষা। তার আগেই যদি সম্ভব হয় এই কাজ তিনি করে দেবেন। না হলে বর্ষার পরে হবে। এ বছরের মধ্যে মঞ্চের সামনের অংশে ছাউনির ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন ঘোষণা হতেই ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাকরা হাততালিতে ফেটে পড়েন। পরে ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন রুদ্রবাবু। সাইটের নাম www.sbhssiliguri.in। প্রাক্তন ছাত্ররা সাইটের মাধ্যমে স্কুলের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ রাখতে পারেন সেই ব্যবস্থা হয়েছে। বন্দোবস্ত হয়েছে প্রাক্তনীদের সংগঠনে নাম নথিভূক্তির।

অভিযুক্ত সিপিএম মারধরের অভিযোগ
পুরভোটের ফল প্রকাশের পরে এক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। ধূপগুড়ির শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল সমর্থক লক্ষ্মী বিশ্বাসকে মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। লক্ষ্মীদেবীর মাথায়, বুকে, পেটে আঘাত লেগেছে। ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধূপগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী জিতেছে। অভিযোগ এদিন দুপুরে সিপিএমের বিজয় মিছিল থেকে লক্ষ্মীদেবীর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার স্বামী খোকনবাবুকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। লক্ষ্মীদেবীর ছেলে অমিতের অভিযোগ, “সিপিএমের বিজয় মিছিল থেকে এক মহিলা বার হয়ে এসে মাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। মা প্রতিবাদ করলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মিছিলের মহিলা, পুরুষেরা মারধর করেন। বাবাকেও মারধর করা হয়। তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।” জেলা তৃণমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সোমনাথ পাল বলেন, “নির্বাচনে হেরে সিপিএমের সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। এত দিন সন্ত্রাস করে সিপিএম ক্ষমতায় টিকে ছিল। লক্ষ্মীদেবীরা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। ধূপগুড়ি থানায় সিপিএমের ১২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধূপগুড়ি লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা বিদায়ী চেয়ারম্যান সত্যরঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। একটি পারিবারিক বিষয়কে রাজনৈতির রং লাগানো হচ্ছে। বাইরে পরিস্থিতি যা তাতে পুলিশেও জানাতে পারছি না।”

স্মারকলিপি
তরাই-ডুয়ার্সের এলাকা জিটিএতে অন্তর্ভুক্ত হলে বন্ধ, অবরোধের হুমকি দিয়ে জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ এবং তাদের প্রভাবিত চা শ্রমিক সংগঠন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির করলাভ্যালি, রায়পুর-সহ অন্য বাগান থেকে প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন কর্মী সমর্থকরা জলপাইগুড়ির সদর বিডিও অফিসে জড় হয়েছিলেন। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজু সাহানি জানান, ডুয়ার্স তরাইয়ে এলাকা জিটিএতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনেরই বিরোধিতা করেছি। কোনও অবস্থায় ডুয়ার্স-তরাইয়ের একটি মৌজাকেও জিটিএতে অন্তর্ভুক্তকরা চলবে না। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিবাদ হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হলে তার দায় রাজ্য সরকারের ওপরেই বর্তাবে।

পড়তে চান সুজিত
মাধ্যমিকের পরে প্রায় ৭ মাস বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে আর্থিক অনটনে ফের স্কুল পাল্টে কলা বিভাগে ভর্তি হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে নজির গড়ল ডুয়ার্সের গজলডোবা হাই স্কুলের সুজিত রায়। সুজিত পেয়েছেন ৩৮২। ভূগোলে ৯২। সুজিতের বাড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের উত্তর মিলনপল্লি এলাকায়। সুজিত মাধ্যমিকে ৫৫৪ নম্বর পেয়েছিলেন। বিজ্ঞান নিয়ে পড়বেন বলে প্রথমে ময়নাগুড়ি ব্লকের ভোটপট্টি এইচবিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আর্থিক অনটনে সুজিতের পড়া থমকে যায়। পড়াশোনার খরচ জোগানো কঠিন হয়ে পড়ে। ততদিনে শিক্ষাবর্ষের ৭ মাস কেটেছে। তবু হার না মেনে সুজিত গজলডোবায় ফিরে আসেন। শিক্ষকদের সাহায্যে তিনি কলা বিভাগে ভর্তি হয়ে যান। গৃহশিক্ষক রাখার ক্ষমতা না-থাকায় স্থানীয় যুবক হিমাংশু বিশ্বাস তাঁকে সাহায্য করেছেন। এখন সুজিত শিলিগুড়ি কিংবা জলপাইগুড়িতে ভূগোলে অনার্স নিয়ে কলেজে ভর্তি হতে চান। তবে অর্থ কীভাবে আসবে সেটা স্পষ্ট নয় তাঁর কাছে। দাদা এবং তিনি গৃহশিক্ষকতা করেই আপাতত এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

শোরগোল শামুকতলায়
দিনমজুরি করে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪০০ পেয়ে এলাকায় শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ডুয়ার্সের শামুকতলার লোকনাথপুর হাই স্কুলের ছাত্র কমল সরকার। দরিদ্র পরিবারের ছাত্রের বাড়ি ডুয়ার্সের কোহিনূর চা বাগানে। কমল বাংলায় ৭৮, ইংরাজিতে ৬৮, দর্শনে ৯৪, ভূগোলে ৮২ ও এডুকেশনে ৭৮ পেয়েছে। সাত বছর আগে লিভারের অসুখ হয়ে বাবার মৃত্যু হয়। মা ঝুনু সরকার দিনমজুর। মায়ের উপার্জনে তিন ভাইবোনের সংসার চলে না। তাই বাধ্য হয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি দিনমজুরি করতে হয়েছে কমলকেও। তাঁর এই রেজাল্টে চা বাগান জুড়ে খুশির আবেশ ছড়িয়ে পড়লেও কী করে উচ্চ শিক্ষার খরচ জোগাড় হবে এই চিন্তায় দিন কাটছে না মা ঝুনু দেবীর। কমলের ভাই সুকুল ৫৩৭ পেয়ে এ বার মাধ্যমিক পাশ করেছে। কমলই ভাইয়ের পড়াশুনার খরচ চালাচ্ছেন। বোন উচ্চ মাধ্যমিক পড়ছেন। কমলের মা বলেন, “শিক্ষক সরোজ সাহা ও ক্ষিতীশ দেবনাথের সাহায্য ছাড়া এ ফল সম্ভব ছিল না। এখন তিন জনের পড়ার খরচ চালানো সম্ভব নয়। ছেলেকে বলেছি, সংসারই চলে না, পড়াব কী ভাবে?”

রাস্তা বন্ধ
ঝড় বৃষ্টিতে সেবকে বড় গাছ পড়ে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকল ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। মঙ্গলবার রাতে সেবক ফাঁড়ির ওই জাতীয় সড়কের কালীবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সন্ধ্যা থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শুরু হয়। ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেই কালীবাড়ির সামনে রাস্তায় একটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে সামনের কয়েকজন ছোট দোকানদার সামান্য জখম হন। পুলিশ গিয়ে গাছটি সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.