নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের ইমামদের মাসিক এক হাজার টাকা করে দেওয়া নিয়ে যে ‘বিতর্ক’ হচ্ছে, তার অবসান ঘটাতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হজ হাউসে তিনি বলেন, “ইমাম ও মোয়াজ্জিনরা অল্প বেতনে কাজ করেন। ওঁরা সমাজকে অনেক কিছু দেন। ওঁদের সাহায্য করতে এবং ওঁরা যাতে ভাল ভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, তাই এই সাম্মানিক দেওয়া হচ্ছে।” এই অর্থ-সাহায্য যে ‘ভাতা’ নয়, তা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “এটা সাম্মানিক। ভাতা নয়। এটা সরকার সরাসরি দিচ্ছে না। বোর্ড অফ ওয়াকফ এই সাম্মানিক দিচ্ছে।” দুঃস্থ ইমামদের জন্য তাঁর সরকারের এই উদ্যোগ শুধু কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সাহায্যের জন্য যে নয়, তা বোঝাতে মমতা মহিলা আইসিডিএস কর্মীদের সাহায্যের কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, “মহিলা আইসিডিএস কর্মীরা আগে মাসে ৮০০ টাকা পেতেন। ওই টাকায় কী হয়! মহিলাদের সাহায্য করতে ওই টাকাটা আড়াই হাজার করতে বলেছি।” |
তৃপ্ত। মঙ্গলবার হজ হাউসে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি: সুমন বল্লভ |
এ দিনই হজ হাউসে কলকাতা পুর এলাকার প্রায় একশো জন ইমাম এবং মোয়াজ্জিনকে সাম্মানিক দেওয়া শুরু করল ‘বোর্ড অব ওয়াকফ’। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মালদহ ও মুর্শিদাবাদের ইমামদের সাম্মানিক দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত সব জেলায় এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।” ‘বোর্ড অব ওয়াকফে’র চেয়ারপার্সন মহম্মদ আবদুল গনি জানান, রাজ্যে ইমামদের যে সাম্মানিক দেওয়া শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেশের অন্য রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে তা সাড়া ফেলেছে। বিভিন্ন রাজ্য এই প্রকল্পটির বিস্তারিত তথ্য বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, হজ কমিটিকে রাজারহাটে ১৫ বিঘা জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে ‘হজ টাওয়ার’ তৈরি হবে। এ ছাড়াও, নজরুলের জন্মস্থানে ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়’ তৈরির পরিকল্পনাও তাঁর সরকারের আছে বলে মমতা জানান। |