স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি বাড়ল ১৭ই পর্যন্ত
হনের দাপটে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছিল। এ বার সেই গরমের জন্যই স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি ১৭ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মঙ্গলবার জানান। সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীও মহাকরণে বলেন, “আমি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি আপাতত আরও কিছু দিন বাড়িয়ে দিতে বলেছি শিক্ষামন্ত্রীকে। তার পরে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”
এই বাড়তি ছুটি শুধু পড়ুয়াদের জন্যই। স্কুল যথারীতি নির্দিষ্ট সময়েই খুলবে এবং শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগ দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে কোনও ক্লাস হবে না। ছাত্রছাত্রীদেরও স্কুলে যেতে হবে না। মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পরে স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি হতে যাতে সমস্যা না-হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।
গরমের প্রকোপ এড়াতে চার দিন এগিয়ে, ১৫ মে থেকে স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি দিয়েছিল সরকার। তখন বলা হয়েছিল, তাড়াতাড়ি স্কুল খোলা হবে, যাতে পঠনপাঠনের ক্ষতি না-হয়। কিন্তু পারদ এখন আরও ঊর্ধ্বমুখী। সূর্যের প্রখর তাপের সঙ্গে যোগ হয়েছে লু। সব মিলিয়ে সকাল ১০টার পরে বাড়ির বাইরে বেরোনোই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এখনই ফের স্কুল খোলার পক্ষপাতী নয় সরকার। স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন এ দিন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে ছুটি বাড়ানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “বোর্ডগুলির অধীন যে-সব বেসরকারি স্কুল আছে, ছুটি বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে তাদেরও। তবে স্কুল খোলার পরে প্রয়োজনে বাড়তি ক্লাস নিয়ে পঠনপাঠনের বন্দোবস্ত করতে হবে। যাতে ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুতিতে কোনও সমস্যা না-হয়।”

রাজ্যে চতুর্দশ আসানসোলের অভিজিৎ
— নিজস্ব চিত্র।
এ বারের উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্দশ স্থান অধিকার করলেন আসানসোলের ওল্ড স্টেশন হাইস্কুলের ছাত্র অভিজিৎ চক্রবর্তী। মহকুমায় অবশ্য প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই তিনি দিতে চান তাঁর বাবা-মা ও গৃহশিক্ষকদের। পেশায় ইসিএলের কর্মী সমর চক্রবর্তী ও গৃহবধূ মঞ্জুশ্রী চক্রবর্তীর দ্বিতীয় সন্তান অভিজিৎ বলেন, পড়াশোনায় তাঁকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য ও উৎসাহ জুগিয়েছেন দাদা শুভজ্যোতি চক্রবর্তী। অভিজিতের বিশ্বাস, কিছু ‘ রেফারেন্স’ বইয়ের সাহায্য নিয়ে প্রতিটি বিষয়ে সমান মনোযোগ দিলেই সাফল্য সম্ভব। তাঁর দাবি, দিনে সাত ঘন্টা পড়াশোনা করেই এই ফল মিলেছে তার। বাবা-মাও বললেন, ছেলেকে পড়াশোনার জন্য বাড়তি চাপ দেননি তাঁরা। নিজের ইচ্ছেমতোই পড়াশোনা করেছে সে।অভিজিৎ জানান, তাঁর প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা। আর প্রিয় ক্রিকেট। তার কথায়, “জীবনের শততম সেঞ্চুরিতেও সচিনের ভাবলেশহীন, অবিচল মুখ নীরবে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.